এক সাইকেল বিক্রেতা গ্রামে এলো গ্রামবাসীর কাছে সাইকেল বিক্রির উদ্দেশে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কাউকে সাইকেল কিনতে রাজি করাতে পারল না। তখন শেষমেশ বুদ্ধি করে একজনকে ধরল। তাকে বলল, দেখ, সাইকেলের কত সুবিধা! তুমি কত দূরদূরান্তে কাজ করতে যাও। একটা সাইকেল থাকলে কত সহজেই তুমি সাইকেলে চেপে যেতে পারতে। তোমার হয়তো গরু আছে কিন্তু গরুর পিঠে করে যদি দূরদূরান্তে যাও তাহলে সেটা হাস্যকর দেখাবে না?
লোকটি বলল, তার থেকেও হাস্যকর দেখাবে যদি আমি সাইকেলের দুধ দোয়াতে চেষ্টা করি।
..........................................
ছোট ছেলের পোকায় খাওয়া দাঁত ফেলতে বাবা-মা নিয়ে গেলেন ডাক্তারের কাছে। তিনি বাবা-মাকে আচ্ছা করে বকে দিলেন চকলেট, লজেন্স প্রভৃতি দিয়ে বাচ্চাটার দাঁতগুলো নষ্ট করার জন্য।
বকাঝকা শেষে ডাক্তার সাহেব এবার ফিরলেন ছেলেটির দিকে। বললেন, দেখি, লক্ষ্মী ছেলে মুখটা একটু খোল তো। তোমার দাঁতগুলোর অবস্থা দেখি।
ছেলেটি মুখ তো খোলে না। অবশেষে ডাক্তার ড্রয়ার থেকে একটি লজেন্স বের করে বললেন, মুখ খুলে দাঁত দেখালে এই লজেন্সটি দেব তোমাকে।
ডাক্তারের কা- দেখে বাবা-মা মুখ টিপে হাসছেন দেখে, ডাক্তার বললেন, কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য মাঝেসাঝে লজেন্স দিলে ক্ষতি নেই!
..........................................
দুই ভাইবোন রিকশায় করে বাজারে যাবে।
বড় বোন রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করল, এই যে ভাই, বাজারে যাব, কত নেবেন?
রিকশাওয়ালা বললেন, চল্লিশ টাকা।
বোন আবার জিজ্ঞেস করল, সঙ্গে আমার ভাই যাবে। কত নেবেন?
রিকশাওয়ালা অবাক হয়ে বলল, ওই একই ভাড়া, চল্লিশ টাকা। বাড়তি ভাড়া দিতে হবে না।
বোন তখন ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল, দেখেছিস, তর কোনো দামই নেই। আমি বলি তুই তো বিশ্বাস করতিস না, এবার বাইরের লোকের মুখ থেকেই শোন!
গ্রন্থনা : এজাজ পারভেজ