নেত্রকোনা জেলায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ ফুল। একটা সময় অন্যের বাগানে কাজ করতেন জামাল উদ্দিন, এখন নিজেই চাষ করছেন গোলাপ। দিন দিন এই এলাকায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ফুলের চাষ।
স্থানীয় বাজারগুলোতেও এর চাহিদা বাড়ছে। এলাকা থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন গোলাপ ফুল। ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা ব্যাপক, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২১ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে ব্যবসা হবে লাখ টাকার এমনটা আশা করছেন গোলাপ ফুলচাষি জামাল। তার বাগানে তিন রংয়ের গোলাপ রয়েছে। কৃষক জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে অন্যের ফুলের বাগানে কাজ করেছেন। এরপর চলে আসেন নিজ গ্রামে।
সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের পাঁচপাই গ্রামে প্রায় ৪৫ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন গোলাপের বাগান। গত ছয় বছরে গাছ লাগিয়েছেন প্রায় নয় হাজার।
এখন প্রতিদিনই বাগান থেকে সরাসরি বিক্রি করছেন এক হাজারের বেশি ফুল। জেলার শহর কিংবা বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসে ফুলের অর্ডার। এতে দোকানিদেরও প্রচুর লাভ হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসেই শুধু ফুল বিক্রির আশা তার দেড় লাখ টাকার। বাগান পরিচালনা কাজে কর্মসংস্থান হয়েছে দুজনের। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গোলাপের সৌন্দর্য দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এ ফুল জেলার সদর ছাড়াও যাচ্ছে মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুরসহ পাশর্^বর্তী কয়েকটি উপজেলায়।
কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, বছরে চার মাস ফুল ফুটে। এটিকে গোলাপের মৌসুম বলা হয়। তিনি গত ছয় বছর ধরে এ ব্যবসায় সাফল্য পেয়ে এবার বাণিজ্যকভাবে চাষ করেছেন। তার বাগান থেকেই দোকানিরা ফুল তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসসহ নানা উৎসব থাকায় বেড়েছে ফুলের চাহিদাও। বাজারে একটি গোলাপ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮-১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকায়।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, ‘জেলায় ফুলের আবাদ একেবারেই কম, তবে এটি লাভজনক। দুয়েকজন ফুল চাষে এগিয়ে এসেছেন। ফুল চাষে তাদের দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।