অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় এক জেলেকে সাগরে ফেলে দিয়েছে বালু উত্তোলনকারীরা। একই সাথে অপর এক জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বাড়বকুণ্ড সাগরে এই ঘটনা ঘটে। পরে হাতিয়া থেকে অপহৃত জেলেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে সাগরে ফেলে দেওয়া জেলে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, সাগর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সময় উত্তোলনকারীদের বাধা দেয় রামদাস (৩২) ও লিটন দাস (৩০) নামের দুই ভাই। একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। তখন দুই ভাইকে জোর করে বাল্কহেডে তুলে নেয় বালু উত্তোলনকারীরা। সেখানে তাদের মারধর শুরু করে তারা। একপর্যায়ে রামদাসকে ধাক্কা মেরে পানিতে ফেলে দেয় ও লিটন দাসকে নিয়ে বাল্কহেড চালিয়ে উত্তর দিকে চলে যায় বালু উত্তোলনকারী দল। ঘটনার খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি টিম স্পীড বোটে সাগরে অভিযানে নামে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাতিয়া উপজেলার থানারহাট বাজার ঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ জেলে লিটন দাসকে উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। একই সময় ভোলা চ্যানেল থেকে বাল্কহেডসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পানিতে ফেলে দেওয়া বড় ভাই রাম দাসকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কুমিরা নৌ পুলিশের ইন্সপেক্টর ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, জেলে অপহরণের খবর পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে ৫ ঘণ্টার মধ্যে একজন জেলেকে উদ্ধার ও ‘এমভি নাবিল ফারহান’নামের একটি বাল্কহেডসহ ৬ জনকে আটক করি। নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তবে ঘটনার পর ক্ষুদ্ধ জেলেরা সাগরের বিভিন্ন স্থানে বালু উত্তোলনে থাকা কয়েকটি বাল্কহেডের ৮ জনকে ধরে আনে। তাদের জেলে পাড়া আটকে রাখা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এক জেলেকে মেরে পানিতে ফেলে দেওয়ার দাবি করছে। তবে আমরা এখনো তাকে খুঁজে পাইনি। জেলেরা যাদের আটক করেছে তাদের থানায় হস্থান্তর করতে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় দায়ীরা ছাড়াও অবৈধ বালু উত্তোলনকারী সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।