ফেনীতে পিকআপে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কার ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ জনে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদরাসা এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভোলা জেলার মনপুরা থানার হাজীরহাট এলাকার মো. ফারুকের ছেলে মো. আরিফ (২২), একই থানার হাজীরহাট ইউনিয়নের চর ফয়জুদ্দিন গ্রামের নুর আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫), বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার বলই গনিয়া ইউনিয়নের চোলম বাড়িয়া এলাকার সাবুল শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (৩০), জাহাংগীর, সোহাগ ও নুর উদ্দিন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নির্মাণ শ্রমিকদের (রাজমিস্ত্রী) বহন করা একটি পিকআপ ফেনীর উদ্দেশ্যে আসছিল। পরে মহাসড়কের দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদরাসা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মহি উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
মহিপাল হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট সাইমুন ইসলাম বলেন, উপজেলার লেমুয়ায় কাজ শেষে পিকআপে করে ১৮ জন নির্মাণ শ্রমিক শহরে ফিরছিলেন। পথে পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা দিলে পিকআপটি সড়কে উল্টে যায়। এতে পিকআপে থাকা শ্রমিকরা সড়কে ছিটকে পড়লে পেছন থেকে অন্য একটি কাভার্ড ভ্যান তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা যান। আরেকজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। পিকআপে থাকা আরও অন্তত ১০ জন আহত হন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. সাইদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ছয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, গাড়ি দুটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছেন। মহাসড়ক এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।