রোজা রেখে মাকরুহ কাজ করলে রোজার বরকত নষ্ট হয়ে যায় এবং রোজা হয় সওয়াবহীন। আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু কাজ আছে, রোজা রেখে সেসব কাজ করাকে অনেকেই মাকরুহ মনে করেন। কিন্তু বাস্তবে সেসব কাজ মাকরুহ নয়। এমন কয়েকটি কাজ উল্লেখ করা হলো।
এক. রোজা অবস্থায় প্রয়োজনে জিহ্বা দ্বারা কোনো কিছুর স্বাদ নেওয়া বা প্রয়োজনে বাচ্চাদের জন্য খাদ্য চিবানো মাকরুহ নয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যেন স্বাদ গলার ভেতরে চলে না যায়। ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) রোজাদার মহিলার জন্য বাচ্চার খাদ্য চিবানোকে দোষের বিষয় মনে করতেন না। (রদ্দুল মুহতার ২/৪১৬)
দুই. রোজাদারের জন্য সুরমা লাগানো বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মাকরুহ নয়। আতা (রহ.) বলেন, রোজাদারের জন্য সুরমা ব্যবহার করাতে দোষ নেই। (আলবাহরুর রায়েক ২/২৮০)
তিন. রোজা অবস্থায়ও মেসওয়াক করা সুন্নত। এমনকি কাঁচা ডাল দ্বারা মেসওয়াক করাও মাকরুহ নয়। আমির ইবনে রবিয়া (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমি রোজা অবস্থায় অসংখ্যবার মেসওয়াক করতে দেখেছি। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক ৪/২০০)
হাসান (রহ.)-কে রোজা অবস্থায় দিনের শেষে মেসওয়াক করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রোজা অবস্থায় দিনের শেষে মেসওয়াক করতে কোনো অসুবিধা নেই। মেসওয়াক পবিত্রতার মাধ্যম। অতএব দিনের শুরুতে ও শেষে মেসওয়াক করো। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক ৪/২০২)
মুজাহিদ (রহ.) রোজা অবস্থায় তাজা মেসওয়াক ব্যবহার করাকে দূষণীয় মনে করতেন না। সুফিয়ান সাওরি (রহ.) থেকেও অনুরূপ বক্তব্য বর্ণিত আছে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪১৯)