কিছু উপলব্ধি শিক্ষাজীবনেই ঘটলে জীবন চলার পথ মসৃণ হয়। এগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমে পাওয়া যায় না। পথ চলতে চলতেই একজন মানুষ শেখে। কিন্তু যেন ঠেকে না শিখতে হয় সেজন্য এই জীবনশিক্ষাগুলো নিয়ে লিখেছেন শ্রাবন্তী চৌধুরী
আপনার ৯-৫টার চাকরি ব্যবহৃত হয় অন্যের জন্য অর্থ উৎপাদনে। তাই অর্থোপার্জনের জন্য এমন কিছু শুরু করুন, যা আপনার জন্য অর্থ উৎপাদন করবে। আমরা যা খাবার হিসেবে গ্রহণ করি তা-ই খাদ্য নয়, আমরা যা দেখি, পড়ি, অনুসরণ করি সবই আমাদের সত্তা গড়ে তোলে। সেগুলোও ‘খাদ্য’। আমাদের সে সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে।যার মতো হতে চান না তার থেকে পরামর্শ গ্রহণ করবেন না। আপনার সমস্যার সমাধান অন্য কেউ করতে পারবে না। আপনার জীবনের দায়িত্ব শতভাগ আপনার।একশটি আত্মোন্নয়নের বই পড়েও লাভ হবে না, যদি না আপনার জীবনে শৃঙ্খলা থাকে এবং বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান জীবনে প্রয়োগ না করেন।সবাই নিজের জীবন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। তাই লজ্জা ঝেড়ে উন্নতির জন্য যা করা দরকার তা নির্দ্বিধায় করুন। লোকে কী বলবে মনোভাবে ছাড়ুন। আপনার থেকে বুদ্ধিমান ও দক্ষ কারও সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত না হয়ে তার কাছ থেকে শিখতে চেষ্টা করুন।মানের ক্ষেত্রে কখনই আপস করবেন না। তা সেটা বন্ধুত্বের ক্ষেত্রেই হোক বা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে। তবে অপচয় করবেন না।কোনো কিছু ব্যক্তিগতভাবে না নেওয়ার অভ্যাস করুন। পেশাগত জীবন ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক গুলিয়ে ফেলবেন না।আপনি এবং আপনার সাফল্যের মাঝে বাধা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে ‘কমফোর্ট জোন’। এটা থেকে বেরিয়ে আসুন।যাকে যতটুকু বলা দরকার ততটুকুই বলুন। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখুন।
যাবতীয় মাদককে না বলুন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবকিছুই মাদক।