মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছে ইসরায়েল

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৮ এএম

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। গত রবিবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের এই ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন দেশটির জ¦ালানিমন্ত্রী ইলি কোহেন। তিনি বলেন, গাজার অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১৫ মাস ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। উপত্যকাটিতে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে। গত জানুয়ারির শেষদিকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর সেখানে সংঘাতের অবসান হয়েছে। তিন ধাপে বিভক্ত এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এক ভিডিও বার্তায় কোহেন বলেন, ‘আমরা সব ধরনের উপায় ব্যবহার করব আমাদের বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার এই সিদ্ধান্ত প্রধানত পানীয়-জলের জন্য অপরিহার্য কার্যক্রমকে প্রভাবিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ সরকার বলেছে, তারা পানি সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়টিও উড়িয়ে দেয়নি। যুদ্ধের শুরুতেই গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহের বেশিরভাগটাই বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরায়েল। যুদ্ধের কারণে গাজার উপকূলীয় এলাকা এবং অবকাঠামো বিপর্যস্ত। ফলে কিছু বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জেনারেটর ও সৌর প্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ অগে গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।

এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে চাপ সৃষ্টি করার ইসরায়েলের সিদ্ধান্তকে সস্তা ও অগ্রহণযোগ্য ব্ল্যাকমেইল বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক বলেছেন, ‘গাজাকে খাদ্য, ওষুধ ও পানি থেকে বঞ্চিত করার পর এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। এটি আমাদের জনগণ এবং তাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার এক হতাশাজনক প্রচেষ্টা। এদিকে গতকাল সোমবার কাতারে গাজা যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করার বিষয়ে আলোচনা আবার শুরু হওয়ার কথা ছিল। ইসরায়েল চায় হামাস প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য সম্মত হোক। কিন্তু হামাস চায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হোক।

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত