দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই অভ্যন্তরীণ সরকারের সংস্কারে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের আকার ছোট করা ও ব্যয় কমানো। আর ট্রাম্প এ কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে ওঠা বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে। তার নেতৃত্বাধীন সরকারি দক্ষতা বিভাগের সুপারিশে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ওপর খড়গহস্ত হন ট্রাম্প। এবার সংস্থাটির ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করেছে নতুন ট্রাম্প প্রশাসন। স্থানীয় সময় সোমবার এক্স পোস্টে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, ৬ সপ্তাহ পর্যালোচনার পর সংস্থার ৫ হাজার ২০০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এসব চুক্তিতে কয়েক দশক ধরে বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে উল্লেখ করে অনেক ক্ষেত্রেই তা মার্কিন জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী ছিল বলেও জানান রুবিও। তবে কোন কোন কর্মসূচি বাতিল হয়েছে তা স্পষ্ট করে বলেননি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি জানান, ইউএসএআইডির বাকি ১৭ শতাংশ কর্মসূচি এখন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে। আন্তর্জাতিক এই উন্নয়ন সংস্থার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে দরিদ্র দেশগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ইউএসএআইডির মাধ্যমে বিশ্বে হাজার হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। এর সহায়তা বন্ধের ফলে বিভিন্ন দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করেন অনেকেই। এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের বেশ কিছু কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে সাবেক ওই কর্মকর্তাদের গোপনীয় তথ্যে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রয়টার্স জানায়, ওই কর্মকর্তাদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোনাকো। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকারী নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস এবং ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ।