আগের ম্যাচেই গোলের রেকর্ডে তরুণ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ধরে ফেলেছিলেন ‘বুড়ো’ রোনালদো। এবার ছাড়িয়ে গেলেন নিজের তারুণ্যের কীর্তিতে। ফুটবলে বয়স ৩০ পেরিয়ে যাওয়াকে সাধারণত বুড়ো হিসেবে ধরা হয়। ৩০ বছরের আগে রোনালদো যত গোল করেছেন, গত রাতের গোলে পরের ১০ বছরে ছাড়িয়ে গেছেন সেই সংখ্যাকে।
সোমবার রাতে রিয়াদের আল আওয়াল পার্কে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ইরানি ক্লাব এস্তেগলাল এফসির বিপক্ষে আল নাসর ৩-০ গোলে জিতেছে। প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় এই ব্যবধানেই আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সৌদি ক্লাবটি। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে আল নাসরের হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে মাইলফলক স্পর্শ করেন সিআরসেভেন। বাকি ২ গোল জন ডুরানের। এতে ত্রিশের পর রোনালদোর গোলসংখ্যা হলো ৪৬৪টি, যা ত্রিশের আগে ছিল ৪৬৩টি। পরিসংখ্যানই যেন বলে দেয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন আরও ক্ষুরধার হচ্ছেন সিআরসেভেন। পাশাপাশি এই গোল দিয়ে ক্যারিয়ারে হাজারতম গোলের মাইলফলক স্পর্শের পথেও আরেক ধাপ এগোলেন রোনালদো। এখন রোনালদোর গোল সংখ্যা হলো ৯২৭টি। সহস্য গোলের মাইলফলকে পৌঁছাতে তার এখন প্রয়োজন ৭৩ গোল।
রোনালদোর এমন নৈপুণ্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশংসা ঝরেছে পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্তিনেজের কণ্ঠে। ‘কোচেস ভয়েজে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘যখনই রোনালদোর মতো একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে আমি কথা বলি, তিনটি মূল বিষয় আমার প্রাধান্যে থাকে। তিনি বিশ্বের সেরা প্রতিভাবান ফুটলারদের একজন ও তার অভিজ্ঞতা অনন্য। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো তার নিবেদন। পর্তুগালকে প্রতিনিধিত্ব করার যে আগ্রহ তার রয়েছে তা ছোঁয়াচে এবং দলে থাকা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করে। এজন্যই গত দুই বছরে খেলা ২১ ম্যাচে ১৭ গোল করা রোনালদোই আমাদের সর্বোচ্চ স্কোরার।’ পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদোতে সওয়ার হয়েই অধরা বিশ্বকাপ ট্রফিটির দিকে নজর মার্তিনেজসহ রোনালদোভক্তদের।