মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

অর্থ উপদেষ্টা বললেন

এ বছরের মধ্যেই কয়েকশ কোটি ডলার ফেরত আসবে

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৯ এএম

দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের মধ্যে কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরের মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিশাল অঙ্কের টাকা ফেরত আনার। এখানে কতগুলো আইনি পদক্ষেপ আছে, সেই পদক্ষেপগুলো আবার বিদেশের সঙ্গে জড়িত। আমরা চেষ্টা করছি, যত তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারি। এজন্য আইনের কিছু চুক্তি করা দরকার বিদেশের সঙ্গে; এগুলো করব। আগামী মাসে আরও একটু ভালো জানতে পারবেন। এ সময় ঈদ উপলক্ষে নতুন টাকা বিতরণ বাতিল করার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তার কোনো জবাব দেননি অর্থ উপদেষ্টা।

এদিকে মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জি টু জি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য এবং পণ্য ক্রয় কার্যক্রমের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)। প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

গতকাল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় জি টু জি ভিত্তিতে ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি ৪ হাজার ৬৮ কেটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

এতে চীন সরকার ঋণ দেবে ৩ হাজার ৫৯২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার এবং বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চীনের তিনটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দেয়। তার মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অন্য তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনকে (সিসিইসিসি) যথোপযুক্ত বিবেচনা করে। এ ছাড়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২৮২তম বোর্ডসভায় যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিরূপণ করে ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়।

প্রকল্পের ডিপিপিতে বর্ণিত প্রধান ক্রয়কার্যগুলো হলো মোংলা বন্দরে ৪ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রকল্পটির অধীনে দুটি কনটেইনার জেটি (৩৬৮ মিটার), ৮৭ হাজার ৬০০ বর্গমিটার লোডের কনটেইনার ইয়ার্ড, ৩৪ হাজার ১৭০ বর্গমিটার খালি কনটেইনার ইয়ার্ড, ৪ হাজার ২৬০ বর্গমিটার হ্যাজার্ডার্স কার্গো হ্যান্ডলিং ইয়ার্ড নির্মাণ, চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন, সাতটি আরটিজি ও ৩৩টি অন্যান্য যন্ত্রপাতি, সার্ভে ও ডিজাইন, ভূমি উন্নয়ন, আরসিসি পেভমেন্ট, মেরিন স্ট্রাকচার, আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ পরিচালন ভবন, তেল সংরক্ষণ ও বিতরণব্যবস্থা, ইলেকট্র্রিক্যাল কাজ, আইসিটি-সংবলিত যোগাযোগের কাজ, পানি সরবরাহ, নিষ্কাশন ও অগ্নিনির্বাপণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অটোমেশন ইত্যাদি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত