ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নতুন পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন ভাবছে। তিনি বলেন, তিনটি পদ্ধতির মধ্যে প্রক্সি ভোটের সম্ভাবনা নিয়ে এপ্রিলের শুরুতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। এরপর রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবার সম্মতি এবং প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি থাকলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমিত পরিসরে এ ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পোস্টাল ব্যালট কার্যকরী নয়। এটি একটি অচল সিস্টেম। প্রতীক বরাদ্দের পরে যখন ব্যালট পেপার ছাপনো হয় তখন থেকে ভোটের ১০-১২ দিন সময় থাকে। প্রবাসীদের জন্য বিদেশ থেকে এটি করতে হলে পোস্টাল ব্যালটের জন্য ২৪-৪০ দিন সময় লাগে। এটার বিকল্প বের করতে হবে।
তিনি জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেখেছি প্রবাসীদের একটি ভোটও কাস্ট হয়নি। দেশে ৪৩৩টি পোস্টাল ব্যালট কাস্ট হয়েছে। প্রবাসী ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালেটর বিধান রয়েছে।
প্রক্সি ভোটের বিষয়ে ইসির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটিই একমাত্র পদ্ধতি, যা ন্যূনতম ইন্টারভেনশনের সময়ের মধ্যে করা সম্ভব। কমিটি যে রোডম্যাপ সাজেস্ট করেছে এবং কমিশন গতকাল অ্যাপ্রুভড করেছে তিনটি পদ্ধতি নিয়ে একটা ওয়ার্কশপ করা হবে এ প্রস্তাবের উপর। সাত থেকে আট এপ্রিলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা তাতে অংশ নেবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিটির বিশেষজ্ঞ ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এরপর রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। সেখানে সর্বসম্মতিতে গৃহীত হলে একটা সিস্টেম ডেভেলপ করব। সিস্টেম ডেভেলপের পর টেস্টিং ও অডিটিংয়ের মাধ্যমে এগুতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ ধাপগুলো অনুসরণ করে প্রক্সি ভোটটাকে এগিয়ে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সবার সম্মতির ব্যাপার রয়েছে। সিস্টেম ডেভেলপের বিষয় রয়েছে। এগুলো করতে পারলে তাহলে আগামী নির্বাচনে প্রক্সি ভোট মোটামুটি একটা পরিসরে চালু করা যাবে।’