বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

এবার শিক্ষা বিভাগে চোখ ট্রাম্পের

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:১২ এএম

দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টেরে দায়িত্ব নিয়েই অভ্যন্তরীণ সরকারের সংস্কারে বেশকিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই পরিকল্পনায় কর্মী ছাঁটাই ছাড়াও বাধ্যতামূলক অবসরের প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরতদের। সেই ধারাবাহিকতায় এবার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের ওপর খড়গহস্ত হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিষয়ক দপ্তরের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরের বার্ষিক বাজেটের পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। সেখানকার কর্মীর সংখ্যা চার হাজারের বেশি। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পরিকল্পনার আওতায় শিক্ষা দপ্তরের প্রায় ২ হাজার ১০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যে পড়তে পারেন। এর মধ্যে এই বছরের শুরুতে অবসরে যাওয়া এবং স্বেচ্ছায় অবসরের প্রস্তাবে সম্মত হওয়া কয়েকশ কর্মীও রয়েছেন। ২১ মার্চ থেকে তাদের ছুটিতে পাঠানো হতে পারে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা বিভাগের চূড়ান্ত লক্ষ্যের অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী কমাতে বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই কাটছাঁট বিভাগের সমস্ত বিভাগে প্রভাব ফেললেও ছাত্র, অভিভাবক, শিক্ষক এবং করদাতাদের আরও ভালোভাবে সেবা প্রদানের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে দপ্তরের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন সংস্থাটিতে চার হাজার ১৩৩ জন কর্মী ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ১৫টি সংস্থার মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে কম। তবে ছাঁটাইয়ের পর শিক্ষা দপ্তরে ২ হাজার ১৮৩ জন কর্মী বহাল থাকবেন।

এক বিবৃতিতে কর্মীদের বলা হয়েছে, ছাঁটাই হওয়া সবাই ৯ জুন পর্যন্ত তাদের স্বাভাবিক বেতন ও সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে তারা কত দিন ধরে বিভাগে কাজ করেছেন, তার ওপর ভিত্তি করে আর্থিক প্রণোদনাও পাবেন।

১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিভাগ মূলত সরকারি স্কুলগুলোর তহবিল তত্ত্বাবধান, শিক্ষার্থীদের ঋণ এবং নিম্ন আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরের আওতায় স্কুলগুলো পরিচালিত হয় এবং এটি পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে এমনটা মনে করা হলেও, আসলে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্র্তৃপক্ষ (ডিস্ট্রিক্ট) এসব কাজ করে থাকে। দেশটির নাগরিকদের উচ্চশিক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী ঋণ দেওয়ার কাজটি পরিচালনা ও তদারকির মধ্য দিয়ে শিক্ষা দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ তহবিলের মাত্র ১৩ শতাংশ কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে আসে। তহবিলের সিংহভাগ আসে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্র্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত