দৈনিক যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা প্রকাশের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩ এর ১০ ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে যায়যায়দিন পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে যে ঘোষণাপত্র ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, প্রকাশনার নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের করা আবেদনে প্রকাশনার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে পত্রিকাটি অনুমোদিত প্রেস থেকে ছাপা না হওয়া এবং মুদ্রণসংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য প্রদান ইত্যাদি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের প্রতিবাদ : ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন যায়যায়দিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ। সেখানে তিনি অভিযোগ করে বলেন, শফিক রেহমানের ঠুনকো অজুহাতে যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, ‘প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সামনে রেখে অবৈধভাবে প্রধান কার্যালয় ও ছাপাখানা দখল করেছে একটি কুচক্রী মহল। তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বর্তমান মালিক সাঈদ হোসেন চৌধুরীর কাছ থেকে যায়যায়দিন ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আমরা বর্ষীয়ান এ সাংবাদিকের সম্মানের কথা ভেবে নীরবে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কুচক্রী মহলটি আইন-আদালতসহ সর্বত্র প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে এবং সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, একটি মিডিয়া হাউজ কোন শক্তির জোরে দখল করা হয়েছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে।’
তিনি আরও বলেন, দুঃখজনক হলো, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলস্থ যায়যায়দিন কার্যালয় ও প্রেস বেদখল হওয়ার পর আমরা বিধি মোতাবেক ডিসি অফিসকে অবহিত করে অন্য প্রেস থেকে পত্রিকা ছাপানোর ব্যবস্থা করি। পরপর দুটি প্রেস পরিবর্তনের বিষয়টিও যথারীতি ডিসি অফিসকে জানানো হয়। কিন্তু ডিসি অফিস শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঠুনকো অজুহাতে যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে। এ ঘটনা বিগত ফ্যাসিবাদী আমলের দুঃশাসনকেও হার মানায়।’