ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের চার নম্বর মাঠে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
মাত্র ১১৫ রানে ধানমন্ডিকে অলআউট করার পর সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছু উইকেট হারালেও মার্শাল আইয়ুবের অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরিতে জয় নিশ্চিত করে অগ্রণী ব্যাংক। চলতি লিগে এটি তাদের তৃতীয় জয়। অন্যদিকে, চার ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয়বার হারলো ধানমন্ডি।
ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের ব্যাটিং ছিল হতশ্রী। অগ্রণীর বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩৩.৫ ওভারে মাত্র ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
বোলিং ঝড়ের সূচনা করেন রবিউল হক। সপ্তম ওভারে ২১ বলে ২ রান করা আশিকুর রহমান শিবলিকে বোল্ড করে ধানমন্ডির পতনের শুরুটা করেন তিনি। পরের ওভারেই উইকেটরক্ষক ইমরানউজ্জামানের ক্যাচ দিয়ে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান ফজলে মাহমুদ রাব্বি। এরপর ৮ বলে ১ রান করে বোল্ড হন ইয়াসির আলী রাব্বি।
এরপর সানজামুল ইসলাম ও জাকিরুল আহমেদ জেম ২৯ রানের জুটি গড়লেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৪ বলে ১৮ রান করা সানজামুল শুভাগত হোমের বলে লেগ বিফোর হন। ৫০ বলে ১৯ রান করা ওপেনার জেমও ফিরে যান আরিফ আহমেদের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর নুরুল হাসান সোহান ও মঈন খান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তারা ৪৪ রানের জুটি গড়েন। তবে তাইবুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ৩৪ বলে ২২ রান করা সোহান ফিরে গেলে ভেঙে পড়ে ধানমন্ডির ইনিংস।
সবশেষে রবিউল হকের বলে বোল্ড হওয়ার আগে মঈন খান ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। অগ্রণীর হয়ে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রবিউল হক। আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমান ২টি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম পাঁচ ওভারেই ২২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অগ্রণী ব্যাংক। হাসান মুরাদের বলে ১৭ বলে ১১ রান করা ইমরানউজ্জামান লং-অফে ক্যাচ দেন। এরপর গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন ইমরুল কায়েস।
২৬ রানের মধ্যে আরও একটি উইকেট হারায় অগ্রণী। ৯ বলে ২ রান করা অমিত হাসান স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। এরপর সাদমান ইসলাম ও মার্শাল আইয়ুব মিলে দলকে ৫০ রানের ঘরে পৌঁছান। তবে ৫৮ বলে ১৮ রান করে সাদমানও ফিরে যান।
তাইবুর রহমানের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন মার্শাল। ৪৩ বলে ২২ রান করা তাইবুর ফজলে রাব্বির বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিলে দলীয় ১০০ রানে ৫ম উইকেট হারায় অগ্রণী ব্যাংক। তবে এরপর আর বিপদ হতে দেননি মার্শাল ও শুভাগত হোম।
৯২ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্শাল আইয়ুব। শুভাগত ১৩ বলে ৯ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।