বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ইসলামের প্রথম যুগের রোজা

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ এএম

রোজার বিধান পৃথিবীর সব যুগেই ছিল। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা ১৮৩) তবে সব যুগে একই নিয়মের রোজা ছিল না; বরং কালের পালাবদলে রোজার ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। এ জন্যই ইসলামের শুরু ও পরবর্তী যুগের রোজায় কিছুটা ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

ইসলামের প্রথম যুগে আশুরার রোজা রাখতে হতো। তখন আশুরার রোজা ছিল ফরজ বিধান। এরপর যখন রমজানের রোজা ফরজ হয়, তখন রোজা রাখা বা না রাখার ব্যাপারে সবারই স্বাধীনতা ছিল। মূলত এটা ছিল ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠার জন্য। পরবর্তীতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে সেই বিধান রহিত হয়ে যায়। আর রোজা না রাখা অবস্থায় তখন শুধু ফিদইয়া দিলেই যথেষ্ট হয়ে যেত। ফিদইয়া হলো, প্রতিটি রোজার বদলে একটি সদকাতুল ফিতর অর্থাৎ ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটা বা তার সমমূল্য দরিদ্র এতিম বা মিসকিনকে দান করা অথবা একজন ফকির বা গরিবকে দুই বেলা পেট পুরে খাওয়ানো।

ইসলামের প্রথম যুগে রোজার বিধানে কিছুটা কঠোরতা ছিল। সূর্যাস্তের পর কেউ যদি ঘুমিয়ে যেত, তাহলে তার ওপর আরোপিত হতো রোজার বিধান। অর্থাৎ তখন থেকে নিয়ে পরদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার, পানীয় ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হতো। কিন্তু রোজার এ নিয়ম কারও কারও কাছে কিছুটা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন অনেক সাহাবি। কিছু সাহাবি রাসুল (সা.)-এর কাছে এ নিয়ে অভিযোগও করেন। তখন রোজার বিধান শিথিল করে দেওয়া হয়। সূর্যাস্ত থেকে নিয়ে সুবহে সাদিক পর্যন্ত খাওয়া, পান করা ও স্ত্রী সহবাস সবকিছু বৈধ করে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত