বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ইউনের অভিশংসনের রায় শিগগিরই

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ পিএম

সামরিক আইন জারি করাকে কেন্দ্র করে অভিশংসিত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। এবার অভিশংসিত এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে চলমান মামলায় আদালত দ্রুতই রায় জানাতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। আর এ ঘটনায় আবারও নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউনকে স্থায়ী অপসারণ বা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দিতে পারে আদালত। এই সম্ভাব্য রায়কে ঘিরে তার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার সিউলে হাজারো মানুষের জমায়েত হওয়ার মধ্য দিয়ে তারই বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।

সিউলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি স্কয়ারে ইউনবিরোধীরা সমবেত হন। তাদের সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতারাও যোগ দেন। এ সময় তারা ইউনের তাৎক্ষণিক অপসারণের জন্য বিভিন্ন ধরনের সেøাগান দিতে থাকেন। এর মাত্র কয়েক ব্লক দূরে পুরো একটি অ্যাভিনিউ দখল করে ফেলেন ইউনের কট্টর সমর্থকরা। তাদের এই জমায়েত থেকে অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের পুনর্বহালের জন্য জোরালো দাবি জানানো হয়। এ সময় তাদের হাতে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা দেখা যায়।

এদিকে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ইউনবিরোধী বিক্ষোভে ১০ লাখের মতো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বলে দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। তবে পুলিশের বরাতে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, দুটি মিছিলেই প্রায় ৪৩ হাজারের মতো মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। সব মিলে সংখ্যাটি ৯০ হাজারের বেশি হবে না। ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগেও মামলা চলছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগে তাকে আটক করা হলেও, গত সপ্তাহে জামিনে মুক্তি পান ইউন।

হঠাৎ করে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে গত কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন ইউন। এরপর থেকেই রক্ষণশীল ও উদারপন্থিদের মধ্যে দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্যালোপ কোরিয়া নামের একটি সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, ৫৮ শতাংশ ইউনের অভিশংসনের পক্ষে মত দিয়েছেন। আর ৩৭ শতাংশ এর বিরোধী।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত