শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

লিচুর সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া চাষ

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৪ এএম

লিচু বাগানে সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন শিক্ষক হুমায়ুন কবির জনি। বোচাগঞ্জ উপজেলার নেহালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষিবিষয়ক শিক্ষক তিনি। প্রথমে নিজেই পরীক্ষামূলকভাবে লিচু বাগানের নিচের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষের উদ্যোগ নেন। আর প্রথম উদ্যোগেই তিনি সফলতার মুখ দেখেন। হুমায়ুন কবির জানান, দিনাজপুর থেকে এক হাজার দুশটি উন্নত জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ কিনে বাসাতে চারা তৈরি করি। এরপর এই চারা এক একর ২০ শতক জমির লিচু বাগানে রোপণ করেন। কিছুদিন পর প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া গাছে ১০টির বেশি কুমড়ার অংকুর দেখতে পান। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে ৫ থেকে ৬টি কুমড়া সংগ্রহ করেছেন। এর ফলে মিষ্টি কুমড়ার আকার বড় হয়েছে এবং গাছ বালাইমুক্ত রাখতে পেরেছেন। দিনাজপুর জেলায় আম ও লিচু গাছের নিচে হাজার হাজার একর জমি ফাঁকা পড়ে থাকে। সেই বাগানে গাছের নিচের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে সফলতা পেতে পারেন, এমনটাই ভাবছেন স্থানীয় কৃষিবিদরা। জনি আরও জানান, ‘আমি লিচু বাগানে তিন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এই কুমড়া আবাদ করতে আমার প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত দেড় লাখ টাকার মিষ্টি কুমড়া ক্ষেত থেকেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছি। আরও অনেক মিষ্টি কুমড়া ক্ষেতে রয়েছে।’ এ মৌসুমে  মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে  আরও ৫ লাখ টাকা আয় করতে পারব বলে মনে হচ্ছে। কুমড়া ক্ষেত দেখতে আসা আব্দুর রহিম জানান, ‘আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি লিচু বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা যায়। তাই পদ্ধতি দেখতে এসেছি। লিচু বাগানের মধ্যে মিষ্টি কুমড়া চাষ দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি আগামী বছর আমার আম লিচুর বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ করব।’ দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া জানান, বোচাগঞ্জ উপজেলায় লিচু বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ দেখেছি। এটি সফল উদ্যোগ। জেলার ১৩টি উপজেলার লিচু ও আম বাগানে গাছের মাঝখানের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়াসহ সাথি ফসল চাষে বাগান মালিকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত