রাজধানীর গাবতলীতে আসাদুজ্জামান এরশাদ নামের এক পরিবহন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার বিকেলে চাঁদা না দেওয়ায় ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতার নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে এএসএ পরিবহনের একটি বাস আটকে রাখেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনের কাছে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান এরশাদ বলেন, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি তার মালিকানার একটি বাস মেরামত করাতে গাবতলী বাস টার্মিনালে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল কবিরের নেতৃত্বে কয়েকজন তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চাঁদাবাজরা তার বাসটি আটকে রাখেন। ভুক্তভোগী দারুসসালাম থানার ওসিকে বিষয়টি জানালে থানা-পুলিশ গাড়িটি উদ্ধার করেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, এর আগেও তার কাছে চাঁদা (৫০টি চেয়ার ও একটি এসি) চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তিরা। ওই ঘটনায় তিনি দারুসসালাম থানায় তখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এ ছাড়া কুড়িগ্রামে বাস আটকে চাঁদা দাবির ঘটনাও উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা খাইরুল কবির বলেন, আসাদুজ্জামানের কাছে একজন সুপারভাইজার টাকা পান। ছয়-সাত মাস হলেও তিনি টাকা না দেওয়ায় আসাদুজ্জামানকে সেই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তবে, বাস আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে দারুসসালাম থানার ওসি রকিব-উল-হাসান বলেন, এটা একটা আর্থিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা। ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক বাসটি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপি সদর দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।