রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ঈদযাত্রায় প্রতি লঞ্চে থাকবেন ৪ আনসার

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫১ এএম

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে লঞ্চযাত্রায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গতকাল থেকেই প্রতিটি লঞ্চে চারজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ঈদ-পরবর্তী আরও দুদিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের জন্য রাতের বেলা স্পিডবোট এবং ২৪ ঘণ্টা বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রবিবার সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্র্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রা যেন সুন্দর ও ঝামেলামুক্ত হয় সেজন্য এরই মধ্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৫ রোজা থেকে ঈদ-পরবর্তী দুদিন পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চে চারজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। সেই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, বরিশালের মেঘনা নদীসহ সব অপরাধপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ টহল থাকবে।

ঈদকে কেন্দ্র করে সবমিলিয়ে ২৪টি সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো মধ্যে হলো আসন্ন ঈদযাত্রায় নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। প্রত্যেক লঞ্চের নির্ধারিত স্থানে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার রেটচার্ট প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে; ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়ী ব্যক্তিদের শুধু জরিমানাই করা হবে না বরং লঞ্চের রুট পারমিটও বাতিল করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ফিটনেসবিহীন কোনো জলযান নৌপথে চলাচল করতে পারবে না; কোনো লঞ্চ বা ফেরি সিরিয়াল ব্রেক করে চলতে পারবে না।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত