বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

কৃষকের ক্যানসারঝুঁকি ও সামাজিক আচরণ

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:১৬ এএম

প্রতিদিন কোনো না কোনো কৃষক, সরাসরি বা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে, কৃষি উন্নয়ন কর্মীদের কাছে জানতে চান ফসলের রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে কোন ‘রাসায়নিক বিষ’ ব্যবহার করা উচিত? পাশাপাশি, যখন তাদের ফসলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়, তখন বেশিরভাগ কৃষক জানান, গাছ সুস্থ, সবল ও তরতাজা আছে। তখন পাল্টা প্রশ্ন, তাহলে বিষপ্রয়োগের প্রয়োজন কেন? উত্তর আসে একই ধরনের: ‘যদি কোনো অসুখ হয়ে যায়!’

কৃষকদের প্রত্যাশা, কৃষি উন্নয়ন কর্মীরা এমন একটি রাসায়নিক বিষের পরামর্শ দেবেন, যা সহজে ফসলকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু যদি বিষ ব্যবহারের পরিবর্তে অন্য পরামর্শ দেওয়া হয়, তখন অনেক কৃষক হতাশ হন। আবার, অনেক সময় বালাই আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, যা সামান্য পরিচর্যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, কৃষকরা তাতে দুশ্চিন্তায় পড়েন এবং বালাই বিক্রেতার পরামর্শে অতিরিক্ত মাত্রায় বা ভুল ধরনের রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করেন। এমন প্রবণতা বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থায় গত চার দশক ধরে ক্রমবর্ধমান হারে দেখা যাচ্ছে। ফলে উৎপাদিত পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে, যারা এই রাসায়নিক বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন কিংবা সরবরাহ শৃঙ্খলে কাজ করছেন, তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা, তা বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে?

২০২৫ সালের নিরাপদ খাদ্য দিবসের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার ফল উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে। দেখা গেছে, দেশের মোট ক্যানসার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই কৃষক বা কৃষির সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক। আরও ভয়াবহ তথ্য হলো, দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২০ সালে যেখানে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ছিল দেড় লাখেরও বেশি এবং ক্যানসারজনিত মৃত্যু হয়েছিল এক লাখের অধিক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫ লাখ ক্যানসার রোগী রয়েছে। তবে এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র নিবন্ধিত রোগীদের ভিত্তিতে নেওয়া। বাস্তবে, দেশের বেশিরভাগ কৃষকই ক্ষুদ্র খামারি এবং তারা সাধারণ রোগের ক্ষেত্রেও চিকিৎসা নিতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। ফলে, অনেক কৃষক জটিল রোগ নির্ণয়ের আগেই মৃত্যুবরণ করেন বা চিকিৎসা ছাড়াই রোগভোগ করেন। গবেষণায় আরও উঠে এসেছে যে, কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্যানসার রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগেরই স্বরযন্ত্র, পাকস্থলী, ফুসফুস, ঠোঁট ও মুখগহ্বর এবং খাদ্যনালির ক্যানসার হচ্ছে। যদিও ক্যানসারের নানাবিধ কারণ রয়েছে, তথাপি লক্ষণ ও প্রবণতা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, সবুজ বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে কৃষিতে অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক বালাইনাশকের ব্যবহার, সেগুলোর ভুল হ্যান্ডলিং এবং যথাযথ নিষ্পত্তি/পরিত্যাগ পদ্ধতির অভাব এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ। বাংলাদেশে বালাইনাশক ব্যবহারের পদ্ধতি, সংরক্ষণ এবং নিষ্পত্তি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কৃত্রিম বালাইনাশক মূলত একটি বিষ, যা প্রধানত ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড়, রোগজীবাণু এবং আগাছা দমনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর মূল ব্যবহারকারী হলেন কৃষক এবং কৃষিকর্মীরা।

বালাইনাশক সাধারণত পাউডার বা তরল আকারে বাজারে পাওয়া যায়। কৃষকরা স্থানীয় বাজার থেকে এটি ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যান এবং সাধারণত অনিরাপদভাবে সংরক্ষণ করেন। প্রয়োগের দিন বোতল বা প্যাকেট খোলার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। হাতমোজা, মাস্ক কিংবা চশমা পরার অভ্যাস নেই বললেই চলে। পাউডারজাত বালাইনাশক কাটার সময় সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তা নাকে প্রবেশ করতে পারে বা ত্বকের সংস্পর্শে এসে শরীরের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ পায়। বিষপ্রয়োগের জন্য সাধারণত বাড়ির টিউবওয়েল বা অন্য কোনো পানির উৎসের কাছে মিশ্রণ প্রস্তুত করা হয় এবং তখন কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম থাকে না, যেখানে বিষের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবহৃত ছুরি/কাঁচি ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় তা বিষাক্ত অবশিষ্টাংশ বহন করে, যা পরে কৃষকের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে জমিতে বালাইনাশক প্রয়োগের সময় বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয় না। ফলে নাক, কান, চোখ, মুখের মাধ্যমে বিষ শরীরে প্রবেশ করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছে যায়। বিষপ্রয়োগের পর অবশিষ্ট বালাইনাশক বোতল বা প্যাকেট অনেক সময় বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় বোতলের গায়ে লেগে থাকা বিষ শুকিয়ে বাতাসে মিশে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও আক্রান্ত করতে পারে। আবার বিষ শেষ হয়ে গেলে খালি বোতল বা প্যাকেট যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে। ক্ষেত্রবিশেষে, বিষপ্রয়োগের পর কৃষকরা কাপড় না ধুয়ে সেটিই পরে থাকেন বা হাত-মুখ ধোয়ার পরও যথাযথ পরিষ্কার না করেই খাবার গ্রহণ করেন। এসব অভ্যাসের ফলে বিষ পাকস্থলীতেও প্রবেশ করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এভাবে চলতে থাকলে কৃষকের স্বাস্থ্য কী পরিণতির শিকার হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। গত পাঁচ দশক ধরে দেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের বালাইনাশক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো প্রতি বছর নতুন নতুন বিষ বাজারজাত করছে, কৃষকদের মধ্যে এসব বিষ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়াতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করছে। অনেক সময় কৃষি উন্নয়ন কর্মী ও সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন সুবিধা বা উপহার দিয়ে এই প্রচারণা চালানো হয়। স্থানীয় বিক্রেতাদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় কমিশন, সহজ শর্তে বাকিতে বিক্রির সুযোগ, এমনকি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করলে পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজন বা পরিবারসহ বিদেশ সফরের সুযোগও দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কৃষকদের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো দৃশ্যমান কাজ আছে কি? বিষ সরবরাহ শেকলে থাকা বিক্রেতা ও দোকানের কর্মচারীদের সুরক্ষা নিয়েই বা আমরা কতটা উদ্বিগ্ন? বালাইনাশকের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে দেশে কোনো ধরনের নীতিমালা বিদ্যমান? কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, দেশে বালাইনাশক বিধি ১৯৮৫ ও বালানাশক আইন ২০১৮ বলবৎ আছে, যেখানে বালাইনাশকের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট সংখ্যক ধারা ও উপধারা রয়েছে। তবে বিদ্যমান বালাইনাশক আইন পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট হয় যে, এ আইন মূলত বালাইনাশক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রণীত হয়েছে। আইনটি ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন বিধিবিধান ও নিষেধাজ্ঞা নির্ধারণ করলেও, কৃষকদের জন্য কেবলমাত্র পরামর্শমূলক সতর্কতা প্রদান করা হয়েছে, যা ১৯৮৫ সালের বিধির ৫৭ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে। কৃষকদের বালাইনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই, বরং তাদের শুধু পরামর্শ অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

কোনো কর্মীর রক্তের কোলিনেস্টারেজ স্তর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত সীমার নিচে নেমে যায়, তবে তাকে অবিলম্বে কাজ থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব নিয়ম কার্যকর হওয়ার কোনো উদাহরণ নেই। এছাড়া, বালাইনাশকের ব্যবহৃত প্যাকেজ, অব্যবহৃত কিংবা বাতিল উপকরণগুলোর সঠিক নিষ্পত্তির ব্যাপারেও আইন রয়েছে। ৫৬ ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রস্তুতকারী ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোই এসব উপকরণের নিষ্পত্তি করেবেন। কিন্তু বাস্তবে এই বিধানও উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। ব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত বালাইনাশক ও প্যাকেজিং সামগ্রী প্রায়ই খোলা পরিবেশে ফেলে রাখা হয়, যা মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আইনে এসব অসংগতিগুলো দূর করার জন্য ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিধান রয়েছে। তবে এ ব্যবস্থা কতটা কার্যকর তা প্রশ্নসাপেক্ষ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিদ্যমান আইনে কৃষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কোনো কার্যকর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা রাখা হয়নি। শুধুমাত্র পরামর্শমূলক নির্দেশনা দেওয়া হলেও, বালাইনাশকের যথাযথ ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিত্যাগের বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ও বাধ্যতামূলক আইন নেই। এটি বর্তমান আইনের একটি বড় সীমাবদ্ধতা, কারণ কৃষকরাই বালাইনাশকের সরাসরি ব্যবহারকারী এবং তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আরও কঠোর ও বাস্তবসম্মত আইন থাকা প্রয়োজন।

বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনের পাশাপাশি একটি কার্যকর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। যদিও কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের বালাইনাশকের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, বাস্তবে এর সুফল খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থার প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে সামাজিক ও আচরণগত দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। বাংলাদেশে বালাইনাশকের অপব্যবহারের ফলে একটি বিশাল জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রচলিত আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন হলে এ সমস্যা অনেকাংশে সমাধান করা সম্ভব। যেমন বালাইনাশক বিক্রেতা ও কর্মচারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রতিটি দোকান ও গুদামে ‘কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হালনাগাদ আছে’ লেখা সাইনবোর্ড টাঙানোর বিধান করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিটি হাসপাতালে কোলিন এস্টারেজ পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে কেউ এটি এড়িয়ে যেতে না পারে। নিরাপদ ফসল জাতীয় চাহিদা। তবে ফসল কখনো নিরাপদ হবে না, যদি তার উৎপাদন প্রক্রিয়াটি অ-নিরাপদ হয়। এক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে প্রি-হারভেস্ট ইন্টারভাল-কে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের বালাইনাশক সম্পর্কে সঠিক নির্দেশনা দিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে বালাইনাশকের সঠিক ব্যবহারের জন্য একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা থাকা দরকার। তাতে ফসল ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত হয়। বাংলাদেশ কেমিক্যাল পেস্টিসাইড অ্যাসোসিয়েশন এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারে, একইসঙ্গে বালাইনাশকের কারণে আক্রান্ত রোগীদের কল্যাণেও তারা সহযোগিতা করতে পারে। বালাইনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে এর সংস্পর্শ পারকিনসন রোগ, হাঁপানি, বিষণœতা, উদ্বেগজনিত সমস্যা, মনোযোগের ঘাটতি ও অতিসক্রিয়তা ব্যাধি এবং লিউকেমিয়া ও নন-হজকিন লিম্ফোমার মতো মারাত্মক ক্যানসারের কারণ হতে পারে। অথচ সামান্য সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বালাইনাশক ব্যবহারের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ পরার অভ্যাস গড়ে তুললে কৃষকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এখন সময় এসেছে কৃষিব্যবস্থায় কৃত্রিম বালাইনাশকের বিকল্প খুঁজে বের করা এবং নিরাপদ ও টেকসই কৃষি পদ্ধতি গড়ে তোলার।  বালাইনাশকের অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। যদি কৃষকরা এতে আক্রান্ত হন, তবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও সংকটে পড়বে, যা সামগ্রিক সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে। এ বিপর্যয় রোধ করতে হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

লেখকঃ গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

[email protected]

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত