পারটেক্সের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন ছিল রূপগঞ্জ টাইগার্সের। ক্রিজে ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন ইনিংস উদ্বোধনে নামা আবদুল মজিদ। শেষ বলে ৩ রানের সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে চার হাঁকিয়ে নিজের সেঞ্চুরি ও রূপগঞ্জ টাইগার্সের জয় দুটোই ছিনিয়ে আনেন মজিদ। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা ৫ হারের পর গতকাল প্রথম জয়ের মুখ দেখল রূপগঞ্জ টাইগার্স। বিকেএসপির তিন নম্বর গ্রাউন্ডে জয়রাজ শেখ ও রুবেল মিয়ার ফিফটিতে ভর করে ২২৩ রান তোলে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। জয়রাজ ৭১ বলে ৫৪ ও রুবেল ৮৯ বলে ৫২ রান করেন। জবাবে দ্বিতীয় উইকেটে আসাদুল্লাহ আল গালিবের সঙ্গে ১০৭ ও আরিফুল হকের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন মজিদ। ৫০ রান করেন গালিব। ১২৩ বলে অপরাজিত ১০০ রান করেন মজিদ।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে অধিনায়ক রায়ান রাফসানের অপরাজিত সেঞ্চুরির পরও হারতে হয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে। তাদের ৪৬ রানে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আর মিরপুরে ব্যাট হাতে লিটন দাসের আরেকটি ব্যর্থতার দিনে ঘরোয়া ক্রিকেটের তিন অভিজ্ঞ মুখ নাইম ইসলাম, ইলিয়াস সানি ও ফরহাদ রেজার ব্যাটে চড়ে প্রায় তিনশ রান তাড়া করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২ উইকেটে হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে।
মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৯০ রানের পুঁজি গড়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। ঝড়ো মেজাজে ৯ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় ৭৫ বলে ৮৩ রান করে থামেন বিশাল। মিজানুর করেন ৫৬ বলে ৫০ রান। চারে নেমে আইচ মোল্লা ৬১ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে সোহাগ গাজীর ঘূর্ণিতে ১০০ রান তুলতেই ফিরে যান একাদশের পাঁচজন। লাগাতার ব্যর্থতার ভিড়ে এ ম্যাচেও থিতু হওয়ার পর ৪০ বলে ৩৩ রান করে থেমে যান লিটন দাস। অবধারিত হারের মুখে থাকা গুলশানের হাল ধরেন অভিজ্ঞরা। ৫০ করে ফেরেন নাইম। এর পর ৬২ বলে ৫৩ রান করা সানিকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান সোহাগ। ২৪০ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর মেহেদী হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জেতানোর দায়িত্ব কাঁধে নেন ফরহাদ রেজা। ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে জেতে গুলশান। ৩৬ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ম্যাচ জেতানো ইনিংসের কারণে ম্যাচসেরা হন রেজা। অন্য ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৪ রান তোলে অগ্রণী ব্যাংক। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৮৫ বলে ৮৬ রান করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে। জবাবে ৫ ৫ উইকেটে ২৪৮ রান তোলে শাইনপুকুর। রাফসান ১৩০ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫ জয়ে টেবিলে তিনে অবস্থান অগ্রণীর, ৪ জয়ে পাঁচে গুলশান।