মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা বাংলাদেশে দিনে দিনে সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে তাদের অবস্থানের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নিয়েছে আরসা সদস্যরা। সাধারণ রোহিঙ্গা সেজে তারা জড়াচ্ছে নানা অপরাধে। শুধু কক্সবাজার অঞ্চলই নয়, সেখান থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরের ময়মনসিংহ বা নারায়ণগঞ্জের মতো এলাকায় বিভিন্ন পেশার পরিচয়ে আরসা সদস্যদের লুকিয়ে থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর দেশের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদ্যমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আরসা সদস্যদের বড় ধরনের নাশকতার শঙ্কাও রয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় আছে আরসার একাধিক গ্রুপ। তারা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে মাদক কারবার, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে আরসা সদস্যদের সক্রিয় থাকার বিষয়টি বারবার অস্বীকার করা হয়। তবে মিয়ানমারের এই সশস্ত্র সংগঠনটির তৎপরতা নিয়ে সম্প্রতি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ওই গোপন প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সক্রিয় আরসা সদস্যদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। নেপথ্যে থেকে সশস্ত্র এই সংগঠনটিকে আর্থিক ও সামরিকসহ বিভিন্নভাবে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নেওয়া আরেক সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও বাংলাদেশে সক্রিয় থাকার তথ্য মিলেছে মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও)।
আরসার শীর্ষ নেতা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীসহ গ্রুপটির ১০ জনকে ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নড়েচড়ে বসেছে। আটক হওয়া ওই দশজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত মঙ্গলবার দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথমদিনই পুলিশ ও র্যাবের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ নানা বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন বলে তদন্তসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার ওই ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আরসা সদস্যদের অবস্থানের তথ্যও পাওয়া গেছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় শিবিরগুলোতেও সক্রিয় আরসা সদস্যরা। মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।
পটপরিবর্তনের সুযোগে বড় নাশকতার শঙ্কা : পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সহস্রাধিক সদস্য সক্রিয় আছে। তারা নানা অপরাধে সম্পৃক্ত। কক্সবাজারের পাশাপাশি বান্দরবানেও তাদের তৎপরতা আছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন শুরু করে দেশটির জান্তা সরকার নেতৃত্বাধীন সেনা সদস্যরা। এতে প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরগুলোতে এখন দিন কাটছে তাদের। এসব রোহিঙ্গার সঙ্গে আরসা সদস্যরাও বাংলাদেশে চলে আসে।
বিশেষ বার্তা পুলিশ সদর দপ্তরের : আরসার বিষয়ে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সবকটি ইউনিট, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। যাতে আরসার তৎপরতার বিষয়ে তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি অংশ আরসাকে ব্যবহার করতে পারে। আরসা সদস্যরা কোথায় কোথায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে তা খুঁজে বের করতে হবে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আরসা নেতাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তারা কৌশলে দেশে নাশকতার চেষ্টা করছে। আরসাকে আরাকান আর্মি সব ধরনের সহায়তা করছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। কয়েকমাস আগেই আরসার তৎপরতা নিয়ে গোয়েন্দারা একটি গোপন প্রতিবেদন পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ওরফে আতাউল্লাহ, মোস্তাক আহমেদ, সলিমুল্লাহ, আসমতউল্লাহ ও হাসান ছয় মাস ধরে নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে বাসা ভাড়া নিয়ে থেকেছে। তারা সবাই মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। আরসার প্রত্যেকটি সদস্যের গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আরসা প্রধান আতাউল্লাহর জন্ম করাচিতে। তবে বেশিরভাগ সময় কেটেছে সৌদি আরবে। সংগঠনটি মূলত গড়ে উঠেছে সৌদি আরবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতে তাদের যোগাযোগ আছে। আতাউল্লাহ সৌদিতে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। ২০১২ সালে তিনি সৌদি আরব থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জান্তা সরকার অত্যাচার চালালে আতাউল্লাহর নেতৃত্বে আরসার নামটি আলোচনায় আসে।’
পুলিশের প্রতিবেদনে আরসার ২৭ গ্রুপ : রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও অস্ত্র কারবার নিয়ন্ত্রণ করছে মূলত আরসা। সশস্ত্র সংগঠনটির ২৭টি গ্রুপ কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সক্রিয়। উখিয়ার কুতুপালংয়ের ক্যাম্প ২-এর পশ্চিমাংশের ডি-৯ ব্লক থেকে মোহাম্মদ জুবায়ের, দিল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ইদ্রিছ ও মোহাম্মদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, মিয়ানমার থেকে আসার পরপরই নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে মাদক কারবার, পরে অস্ত্র কারবারে জড়ান। নিয়মিত অস্ত্র ভাড়া দেওয়ার কথাও স্বীকার করে তারা বলেছেন, দৈনিক হিসেবে অস্ত্র ভাড়া দেওয়া হয়। অস্ত্রের মধ্যে পিস্তলের চাহিদা বেশি। একদিনের জন্য পিস্তল ভাড়া ৩০ হাজার টাকা। অস্ত্র দেওয়ার সময় ছবি তুলে রাখা হয়। আরসার ২৭টি গ্রুপের সদস্যরা সাধারণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিশে চলাফেরা করছে। ক্যাম্পের বাইরে অপরাধীদের কাছে দালালের মাধ্যমে অস্ত্র ভাড়া দেয় আরসা সদস্যরা। যারা ভাড়া নিচ্ছে তারা অপরাধ ঘটানোর পর অস্ত্র ফেরত দেয়। মানবপাচারেও জড়িয়ে পড়ছে আরসা সদস্যরা।
রোগী সেজে ইমাম পরিচয়ে বাসা ভাড়া শীর্ষ নেতা আতাউল্লাহর : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমিপল্লীতে রোগী সেজে বাসা ভাড়া নিয়েছিল আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও তার সহযোগীরা। তারা কী পরিচয়ে কীভাবে থাকতেন, তা নিয়ে কথা বলেছেন বাড়িটির কেয়ারটেকার ও আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা। আরসা প্রধান পরিচয় দিতেন মসজিদের ইমাম ও মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে। তিনি মাঝে মাঝে বাসা থেকে বের হতেন পাঞ্জাবি, টুপি ও পাগড়ি পরে আলেম সেজে। একটানা ১০-১২ দিনের বেশি থাকতেন না এ বাসায়।
জানা গেছে, ভূমিপল্লীর ৬ নং সড়কের ৭৪ নং বাড়িটি ভূমিপল্লী টাওয়ার হিসেবে পরিচিত। দশতলা এ ভবনটির মালিক ১৮ জন। ফ্ল্যাট সংখ্যাও ১৮টি। আতাউল্লাহ ও তার সহযোগীরা ভবনটির ৮ তলার যে ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন সেটির মালিক ইতালি প্রবাসী আবদুুল হালিম সরকার। তার অবর্তমানে দেখভাল করেন পল্লীর বাসিন্দা বন্ধু খোরশেদ। মাসে ২০ হাজার টাকা করে ৫ মাসের ভাড়া অগ্রিম দিয়ে আরসা সদস্যরা ফ্ল্যাটে উঠেন। আতাউল্লাহ গত নভেম্বর মাসে হুমায়ূন কবিরের মাধ্যমে ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানে ১ মাস থাকার পর চলে যান ৮ তলায়।
সক্রিয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও : মাস ছয়েক আগে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে জি-৩ রাইফেলসহ আরসার গান গ্রুপ কমান্ডার মো. জাকারিয়াকে আটক করেছিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জাকারিয়া পুলিশকে জানায়, উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কিছু সদস্য নাশকতার জন্য অস্ত্র নিয়ে রাখে। ২০১৭ সালে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে এসে ক্যাম্পে সপরিবারে বসবাস শুরু করে। আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে আরসায় যোগ দেয়। ২০২৩ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১০-এর ব্লক-এফ/১৭-এর ব্লক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পায়। তার নেতৃত্বে আরসার অন্য সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণ, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাত। ৫ বছর আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে মোহাম্মদ জুবায়ের। আশ্রয় নেন কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে। কয়েক মাস পরেই জড়িয়ে পড়েন নানা অপরাধে। মাদক কারবারের পাশাপাশি অস্ত্র কারবারও শুরু করে জুবায়ের। গড়ে তোলেন ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ। যার প্রতিটিই আরসার সক্রিয় সদস্য।
আরসার তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আরসার শীর্ষ নেতাসহ যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে আরসার অন্য সদস্যদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে। যারা আত্মগোপনে আছে তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।’
আর নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘গ্রেপ্তার আরসা সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের অন্য সহযোগীরা কোথায় লুকিয়ে আছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃতরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিল বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।’
আরসার যেসব সদস্য ছদ্মবেশে সক্রিয় : শরণার্থী ক্যাম্পের ভেতরে অস্ত্র কারবারে জড়িত সবাই আরসার সদস্য। তাদের মধ্যে রয়েছে- এইচ ব্লকের হাবিবুল্লাহ, বালুখালীর গফুর মিয়া, আগের শামলাপুর বাহারছড়া ক্যাম্পের মোহাম্মদ আলম, এ ব্লকের ইমাম হোসেন, আমান উল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম; সি ব্লকের ইসলাম মিয়া, ডি ব্লকের আতাউল্লাহ, বি ব্লকের আলী জহর, দীল মোহাম্মদ, মৌলভী আবদুর রহিম; সি ব্লকের আবদুল্লাহ, কামাল হোসেন, মো. জমিল, ব্লক ১০-এর আবুল আমিন, ক্যাম্প ১৫-এর এনায়েত উল্লাহ, ব্লক এ/৩০-এর মো. ইসলাম, ব্লক ই/৫-এর মো. আবুল মোনাফ, ব্লক-এইচ/১৩ ফারুক শাহ, ক্যাম্প-২৬ ব্লক-শালবনের মৌলভী করিম, ক্যাম্প ৫-এর আমান উল্লাহ, ২ নম্বর ক্যাম্পের মৌলভী আয়াছ, কলিমউল্লাহ, জাহিদ হোসেন, মোহাম্মদ ফরিদ, ইউসুফ, জামাল, আরমান, বাইল্লা, ফরিদ, মোহাম্মদ মুছা, সানাউল্লাহ, সালাম, ছলিমউল্লাহ, মৌলভী সামছু, কলিমউল্লাহ, জাহিদ হোসেন, ইউছুফ, জামাল, ৪ নম্বর ক্যাম্পের আরমান, আব্দুল মালেক, আব্দুল হালিম, মাস্টার সাইফ উদ্দিন, ১৭ নম্বর ক্যাম্পের সিরাজ, এনাম মাস্টার, হোসেন, ইলিয়াছ, নুর, সালাম, মৌলভী হামিদ হোছন, নূর বশর, সেলিম, মাস্টার ফারুক, মাঝি আব্দুর ছবি, হাফেজ আয়াছ, লতিফ আলী, মাঝি সাইফুল্লাহ, ওসমান, হবির আহম্মদ, আইয়ূব, মোহাম্মাদ রফিক, ৭ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুল মাবুদ, আইয়াছ উদ্দিন, হাফেজ, কেফায়েত উল্লাহ্, হয়দার ল্যাংড়া হায়দার, ৫ নম্বর ক্যাম্পে ভুট্টু আব্দুল্লাহ, ওস্তাদ খালেক মাস্টার এনাম, হাবিবুল্লাহ, সৈয়দুল আমিন, শাহ আলম, কালা মিয়া, মৌলভী হোসেন আহাম্মেদ, মৌলভী নুরুল আমিন, নুর সাফা, লিয়াকত আলী, এহসান উল্লাহ, মাস্টার মুন্না, শামসুল আলম, মো. জাফর, মুছা, মো. জাবেদ, মাস্টার দিল মোহাম্মদ, নবী হোসেন, নুরুল আমিন, সৈয়দুল ইসলাম, নুরুল আমিন প্রমুখ।
প্রতিবেদনটিতে তথ্য দিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি মো. সোহেল।