রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (রাজউক) ঢাকার উন্নয়নে করা মহাপরিকল্পনা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সংশোধনের সময় আরও বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার ড্যাপের সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠকটি হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সভাপতিত্বে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ড্যাপের সংশোধনী প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। এ সময় ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার), জনঘনত্ব, কৃষি জমি ও ফ্ল্যাড ফ্লো জোনসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সংশোধনী প্রস্তাব আরও যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত হয়।
রাজধানী ঢাকার জন্য বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) বা ড্যাপ ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট অনুমোদিত হয়। পরের বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর কোনো ধরনের কারিগরি সুপারিশ ছাড়াই তা সংশোধন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদ্যমান ড্যাপকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানায় রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (রিহ্যাব) নির্মাণ খাতের স্টেকহোল্ডাররা (অংশীজন)। এরপর বিষয়টি নিয়ে স্থপতি ইনস্টিটিউট, প্ল্যানার্স ইনস্টিটিউট এবং রিহ্যাবসহ বিভিন্ন সংগঠন দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ডাক দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবারও বেশ কয়েকটি সংগঠন ড্যাপের পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচি পালন করে।
রিহ্যাব এবং বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (আইএবি) নেতাদের প্রত্যাশা ছিল আসছে ঈদুল ফিতরের আগেই ড্যাপের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো দূর হবে। কিন্তু বিষয়টি বিলম্বিত হওয়ায় আবাসন খাতে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রিহ্যাব পরিচালক ও প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা বৈষম্যমূলক ড্যাপ বাতিল চেয়েছি। আমাদের আশ্বাস দিয়ে দিয়ে সাত মাস পার করেছে, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি পায়নি। আমরা প্রত্যাশা করব এ সরকার ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক ড্যাপ বাতিল করবে এবং একই সঙ্গে ইমারত বিধিমালা-২০২৫ বাস্তবায়ন করবে।’