মহান আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদত করার নিমিত্তে জাগতিক জীবনের ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। প্রত্যেক মসজিদে অন্তত একজন হলেও ইতিকাফ করতে হবে। অন্যথায় মসজিদের আশপাশের সবাই গুনাহগার হবে।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমৃত্যু রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করেছেন। তার ওফাতের পর তার স্ত্রীগণও ইতিকাফ করেছেন।’ (সহিহ বুখারি ২০২৬) রাসুলুল্লাহ (সা.) শেষ দশকে ইতিকাফ করতে উম্মতকে নির্দেশ করছেন। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই ইতিকাফ করতে চায়, সে যেন শেষ দশকে ইতিকাফ করে।’ (সহিহ মুসলিম ১১৬৭)
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য একদিন ইতিকাফ করবে, আল্লাহ তার ও জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তিনটি পরিখার দূরত্ব সৃষ্টি করবেন। প্রত্যেক পরিখার দূরত্ব হবে দুই দিগন্তের চেয়েও বেশি।’ (মুজামুল আওসাত ৭৩২৬) আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে নেকির প্রত্যাশায় ইতিকাফ করবে, তার পেছনের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (জামে সগির ১২২৩০)
হুসাইন ইবনে আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করবে, সে দুটি হজ অথবা ওমরাহর সওয়াব পাবে।’ (শুআবুল ইমান ৩৯৬৬) মহান আল্লাহ আমাদের ইতিকাফের মতো গুরুত্বপূর্ণ আমল করার তওফিক দান করুন।