উচ্চ করহার নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করে উল্লেখ করে কোন শর্ত ছাড়া করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। সংগঠনটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির জন্য ২৫ শতাংশ ও পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির জন্য ২০ শতাংশ করপোরেট কর নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া সংগঠনটি করমুক্ত আয় সীমা ৫ লাখ টাকা করা, সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর কমানো, রপ্তানি আয়ের উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫০ শতাংশ করা, রপ্তানির ক্ষেত্রে এইচএস কোড-সংক্রান্ত জটিলতায় দূর করার প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) এসব প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, গ্রস প্রফিট খাতভিত্তিক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, যা যুক্তিসংগত নয়। আবার গ্রস প্রফিট কমে গেলে বা ব্যবসার লোকসান বিবেচনায় নেওয়া হয় না। এমনকি পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বিক্রয় কম হলেও কর কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনায় নেয় না। এটি নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। ব্যবসায় ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও টার্নওভার কর নির্ধারণ করা হয়, যা প্রতিষ্ঠানের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
সংগঠনটির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে অনুন্নত এলাকার শিল্পে বিশেষ কর অবকাশ দেওয়া, নিম্নতম শুল্ক হারে পণ্যের কাঁচামাল, উপকরণ, মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি আমদানির সুযোগ দেওয়া ইত্যাদি।
নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স পাইকারি ব্যবসায়ীদের টার্নওভারের ওপর দেড় শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে ০.৫ শতাংশ করা, বিভিন্ন সুতায় করহার কমানো ও আগাম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে।
বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশন ছাপা কাগজ আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক মওকুফের সিদ্ধান্ত বাতিল করা, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃক বিনাশুল্কে প্রাপ্যতার অতিরিক্ত কাগজ ও বোর্ড আমদানি কঠোর হস্তে দমন ও খোলাবাজারে বিক্রি বন্ধে তদারকির ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
সংগঠনগুলোর প্রস্তাব শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘ভ্যাট আদায়ে প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করে না। তারা প্রকৃত তথ্য লুকায়, আমরাও চেপে ধরি। এভাবে চলতে পারে না।’ তিনি বলেন, পোশাক খাত দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ কর সুবিধা পেয়ে আসছে। এখন তাদের রেগুলার রেটে আসা উচিত।