বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বললেন

পায়রা সমুদ্রবন্দর অর্থনীতির জন্য বিষফোড়া

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪২ এএম

পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্পকে অর্থনীতির জন্য বিষফোড়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তা সত্ত্বেও প্রকল্পটি চালু না রেখে কোনো উপায় নেই বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। সেজন্য প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গতকাল রবিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা। এ সময় পরিকল্পনা সচিবসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি, বৈদেশিক ঋণের ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, পায়রা বন্দরটি সমুদ্রবন্দর হওয়ার উপযুক্ত নয়। এমনকি এটি নৌবন্দর হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। এটিকে একটি নদীর ঘাট হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। ২০১৫ সালে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। তখন কি বিবেচনায় এ ধরনের একটি অযৌক্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল, তা অনুসন্ধানের জন্য তিনি সাংবাদিকদের আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, এই প্রকল্পটি অর্থনীতির জন্য একটি বিষফোড়া। সমুদ্রবন্দরের যে পরিমাণ ড্রাফট থাকতে হয়, তা পায়রা বন্দরে নেই। বন্দরের চ্যানেলে প্রচুর পরিমাণে পলি জমে। ফলে নিয়মিত ড্রেজিং করতে হয়। এই ড্রেজিংয়ে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে, তা কোনোভাবেই সহনীয় নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বন্দরটি চালু রাখতে হচ্ছে। কারণ পাশে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা পরিবহনের জন্যই বন্দরটি ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও চালু রাখতে হচ্ছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত