মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সুবিধা শেষে ‘নিখোঁজ’ আয়নার কারিগররা

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪১ এএম

আরিফুর রহমান মণ্ডল পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছিলেন একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বগুড়া জেলায়। তার বস ছিলেন তৎকালীন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। বগুড়া পুলিশ লাইনে আলোচিত আয়নাঘরের কারিগর তারাই। এখানে আওয়ামীবিরোধীদের পাশাপাশি নিরীহদের আটকে রাখা হতো। এজন্য আসাদুজ্জামান ও আরিফুর রহমান পুরস্কৃত হয়েছেন একাধিকবার।

আয়নাঘরের কারিগর হওয়ার পুরস্কার হিসেবে আসাদুজ্জামান হয়েছেন ডিআইজি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও আয়নাঘরের অপকর্ম গোপন রেখে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি ভাগিয়ে নিয়েছে আরিফুর রহমান মণ্ডল। ঘটনা জানাজানি হলে তারা চলে যান আত্মগোপনে। এক মাস ধরে তারা কার্যত ‘নিখোজ’। আরিফ ও আসাদুজ্জামান এখন লাপাত্তা। এ দুই কর্মকর্তার মতো শত সুবিধা নিয়ে আয়নাঘরের কারিগররা চলে গেছেন আত্মগোপনে। ইতিমধ্যে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি, এসবিসহ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

এদিকে বগুড়ার আয়নাঘরে বিভিন্ন সময়ে গুম হওয়া ১১২ জনের আর্তনাদের কথা শুনেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের পুরো বক্তব্য রেকর্ড করে রাখা হয়েছে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয়েছে কয়েকজনের। গুম হওয়ার আদ্যোপান্ত বলেছেন তারা। তাছাড়া মাস দুয়েক আগে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন ব্রিটিশ হাইকমিশনে বৈঠক করা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বৈঠকের বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা অবহিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত দেড় দশকে যেসব পুলিশ সদস্য আওয়ামী স্বৈরশাসনের সহযোগী ছিলেন, তারা এখন ভোল পাল্টে নিজেদের ভিকটিম দাবি করছেন। পদোন্নতি ও লোভনীয় স্থানে পোস্টিং নিয়ে দিব্যি কাজ করে যাচ্ছেন। সঙ্গে কর্মরত অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার হয়ে গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে জড়িত রয়েছেন অনেকেই।

আয়নাঘরের জন্য পুরস্কৃত : সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তকে জানায়, আয়নাঘরের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করত আওয়ামী লীগ সরকার। যারা এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তাদের পদোন্নতি থেকে শুরু করে ভালো স্থানে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। এমনকি কাউকে কাউকে দেশের বাইরেও পাঠানো হয়েছে। সরকারি অর্থে বছরখানেক কর্মকর্তারা বিশ্বের দামি দেশে ভ্রমণ করেছেন। আয়নাঘরের প্রতিটি ঘটনা গণভবন ওয়াকিবহাল ছিল। তাছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রতিটি বিষয়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকারের একটি প্রভাবশালী সংস্থা এ-সংক্রান্ত একটি গোপন প্রতিবেদন পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। আয়নাঘরের সঙ্গে সম্পৃক্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকা প্রকাশ না পেলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি মনিটরিং করছে।

আয়নাঘরের কারিগরদের বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতির পাশাপাশি ভালো স্থানে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের পর সারা দেশে কয়েকশ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত পুলিশের ৮২ জন গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন। তালিকায় থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের সরাসরি ছাত্র-জনতা হত্যাযজ্ঞে জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। সুবিধার ‘মধু’ খাওয়া কর্মকর্তাদের তালিকাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর যাচাই-বাছাই শেষে যে তালিকা করেছে, তা এরই মধ্যে ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে তথ্য পাঠানো হয়েছে। তালিকায় থাকা অতিরিক্ত আইজিপি থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের অনেকেই পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত।

গত দেড় দশকে আওয়ামী সরকারের আমলে গুম-খুন, অপহরণ, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও আয়নাঘর সৃষ্টি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া ছিলেন শেখ হাসিনার সরকার। দেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ছিলেন অপকর্মে অপ্রতিরোধ্য। আওয়ামী লীগের অপকর্মের সহযোগী ছিল স্বয়ং পুলিশ বাহিনী। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চিহ্নিত বেশ কিছু কর্মকর্তার অপরাধের মাত্রা ছিল চরমে।

বগুড়ার আয়নাঘরে ১১২ ব্যক্তি : পুলিশ সদর দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী বগুড়ার পুলিশ লাইনে একটি আয়নাঘর উদঘাটন হয়েছে। এ আয়নাঘরের মূল কারিগর ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান। জেলার এসপি থাকাকালে তিনি আয়নাঘর তৈরি করেন। আর এজন্য তিনি পদোন্নতির পাশাপাশি পুলিশ পদক পেয়েছেন। তাদের সহায়তা করতেন বগুড়া ডিবির তৎকালীন ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলাম, ইমরান মাহমুদ তুহিন, এসআই জুলহাস, মুজিবর, আলমগীর, এএসআই রাশেদ ও কনস্টেবল গোবিন্দসহ অন্তত ২৫ জন সদস্য। গুম করে রেখে দিতেন পুলিশ লাইনের গোপন বন্দিশালায়। এ সময় চালানো হতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে আয়নাঘরে রাখা ব্যক্তিদের জড়ানো হতো জঙ্গি মামলায়। যারা কখনো জঙ্গি কার্যক্রমে ছিল না তাদের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বানিয়ে রাখা হতো। যারা এখানে গুম হয়েছেন তাদের নির্মম নির্যাতনও করা হতো। মাঝেমধ্যে নির্যাতনের পর কাউকে সড়ক দুর্ঘটনা দেখিয়ে মেরে ফেলা হতো। পেট কেটে কারও লাশ ফেলে দেওয়া হতো নদীতে।

পুলিশের একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম হওয়া অনেককেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলোচিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’র মামলায় আসামি করা হয়। যারা ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানতেনও না। ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল জঙ্গিবিরোধী অপারেশন ঈগল হান্ট অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এ মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অনেককে তুলে নেওয়া হয় বিভিন্ন সময়ে। পরে কৌশলে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিসহ বিভিন্ন মামলায়। এ ছাড়া গুমের শিকার অনেকের কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। এ সংখ্যা গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অন্তত ১১২ জনের মতো।

গুমের শিকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় আমাকে। কী কারণে তারা আমাকে ধরেছে তা বুঝতে পারিনি। একটি মাইক্রোবাসে করে তারা আমাকে বগুড়ায় নিয়ে যায়। একটি গোপন কক্ষে চোখ বেঁধে ফেলে, কয়েক ঘণ্টা পর রাখা হয়। পরে বুঝতে পারি আমি বগুড়া পুলিশ লাইনে আছি। গুম থাকা অবস্থায় কোনো কথা বলতে গেলেই চালানো হতো নির্যাতন। পরে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের মারফতে গুমের অবস্থানের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হই। সেখানে আরিফ মণ্ডল আমাকে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। আমাকে গুম করার সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। ৮২ দিন আমাকে আটকে রাখা হয়। একদিন পুলিশের এক সদস্য বলে ওঠেন ওরে ছেড়ে দিলে আমাদের সমস্যা হবে। সে সব ফাঁস করে দেবে। পরে আমাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনা হয়। ঈগল হান্টের নামে একটি ঘটনায় আমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কী অপরাধ ছিল তা আজও জানতে পারিনি। নাটক সাজিয়ে পুলিশ আমাকে গুম করে জঙ্গির তকমা লাগায়।

একই কা- ঘটানো হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আল-আমিনের ওপরও। তাকে জঙ্গি তকমা লাগিয়ে নানা কায়দায় নির্যাতন করা হয়। পাঁচ মাস তাকে গুম করে রাখা হয়। আল-আমিন জানান, গত ১০-১২ বছরে বগুড়ার আয়নাঘরে অন্তত ১১২ জন গুম করে রাখা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই ভাই মিজানুর রহমান ও রেজাউল করিম, গাবতলীর আবু বক্কর, দুপচাঁচিয়ার শিহাব, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ফারুক, মো. ওসমান ও মো. হাসুসহ অনেকেই এখনো ফিরে আসেননি।

কারিগরে যারা ছিলেন : আওয়ামী সরকারের আমলে আয়নাঘর তৈরি করে দেশ-বিদেশে সমালোচনার জন্ম দেয়। আওয়ামী লীগবিরোধী লোকজনকে বছরের পর বছর ধরে আয়নাঘরে গুম করে রাখা হতো। আয়নাঘরের প্রতিটি বিষয় গণভবনের সম্মতি থাকার তথ্য মিলেছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ইশারায় সবকিছু হতো। তিনি মূলত গুম ও খুনের বিষয়ে গণভবনের কর্তাদের অবহিত করতেন। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্তারা এসব অপকর্মে জড়িত। আওয়ামী লীগের আমলে তারা সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছেন। ইতিমধ্যে সরকারের একটি সংস্থা তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইর সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা রাশিদুল আলম, সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। বর্তমানে সোহায়েল ও জিয়াউল আহসান কারাগারে আছেন। বাকিদের হদিস নেই। তবে আকবর হোসেন দেশের বাইরে চলে গেছেন। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন, সাবেক আইজিপি ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মীর রেজাউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল বাতেন, ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সাবেক ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, ডিএমপির ওয়ারী ডিভিশনের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

কমিশন গঠনের পর বেরিয়ে আসে আয়নাঘরের রহস্য : গত ২৭ আগস্ট গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্র্বর্তী সরকার। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনার তদন্ত করে। গত ১৪ ডিসেম্বর কমিশন ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর প্রকাশ করা হয়েছে। র‌্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে কমিশনে ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগ জমা পড়ে। তার মধ্যে কমিশন ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে। ৭৩ শতাংশ ভুক্তভোগী ফিরে এসেছে। বাকি ২৭ শতাংশ এখনো নিখোঁজ আছে। খুন ও গুমের ঘটনায় পুলিশ, র‌্যাব, ডিজিএফআই, সিটিটিসি, জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতনরা সম্পৃক্ত।

ব্রিটিশ হাইকমিশনে যাওয়া নিয়ে তোলপাড় : গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ব্রিটিশ হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা পুলিশ সংস্কার নিয়ে বৈঠক করেন বলে জানা গেছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু, সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, সহসভাপতি মাহামুদুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহাজাদী কোঞ্জেনুর কলি এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনারের পক্ষে ফার্স্ট সেক্রেটারি, ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ ডেভেলপমেন্ট অফিস ফর কনফিক্ট সিকিউরিটি অ্যান্ড মেডিয়েশনের রয় ফ্লেমিং ও সিয়ান এমব্লার। বৈঠকের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগে পোস্ট করলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিদেশি কারোর সঙ্গে বৈঠক করতে হলে পুলিশ সদর দপ্তর বা ইউনিটপ্রধানদের অনুমতি নিতে হয়। পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন কার অনুমতি নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনে গিয়ে বৈঠক করল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তারা কিছুতেই এ কাজটি করতে পারে না। পুলিশের সংস্কার নিয়ে তো ঊর্ধ্বতনরা কথা বলবেন। তারা কিছুতেই কথা বলতে পারে না। চেইন ইন কমান্ড বলে একটা বিষয় আছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত