১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যখন তিনি বলেন- ‘আমি মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট ও লিবারেশন আর্মি চিফ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে নেমেছি। আপনারা যে যা পারেন, সামর্থ্য অনুযায়ী অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। আমাদের যুদ্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তানি বাহিনীকে দেশছাড়া করতে হবে।’ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জনের পরে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে কোনোরূপ উচ্চাভিলাষ না করে নির্দি¦ধায় সৈনিক জীবনে ফিরে যান। স্বাধীনতা-উত্তর ’৭২ সালে প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়া সফিউল্লাহ থেকে শুরু করে পাঁচ জনের বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন। তা সত্ত্বেও সেনাপ্রধান না করে, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার তাকে সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত করেন। ১৯৭১ সালে এই দেশের মানুষ জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘বটমলেস বাসকেট’ নামে পরিচিতি লাভ করে। এরপর ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি দেশে গণতন্ত্র হত্যা করে প্রতিষ্ঠা করা হয় কুখ্যাত একদলীয় ‘বাকশাল’ শাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয় সব বিরোধী রাজনৈতিক দল, মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। এর ফলে জাতি গভীর সংকটে পড়ে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে বন্দি করা হয়, দেশ অরাজকতার পথে যায়। এই সংকটময় মুহূর্তে ৭ নভেম্বর সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসে, জাতির স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নিয়ে। জিয়াউর রহমান বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হন এবং াঁর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত হয়।
৭ নভেম্বর ১৯৭৫, ‘আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিডিআর, পুলিশ, আনসার এবং অন্যদের অনুরোধে আমাকে সাময়িকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের চীফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়েছে। এই দায়িত্ব ইনশাল্লাহ আমি সুষ্ঠুভাবে পালন করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনারা সকলে শান্তিপূর্ণভাবে যথাস্থানে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করুন। দেশের সর্বত্র অফিস, আদালত, যানবাহন, বিমানবন্দর, মিলকারখানাগুলি পূর্ণভাবে চালু থাকবে। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন।’ মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক এবং সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তিনি বিভাজনের রাজনীতির পরিবর্তে ঐক্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতিকে তার দর্শন হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি সব মতাদর্শ এবং পথের মানুষের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সামাজিক বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে একটি মানবিক ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন। এই কর্মসূচি কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মৌলিক চাহিদার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত করার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অনন্য উদাহরণ। হুমায়ূন আহমেদ তার উপন্যাস ‘দেয়াল’-এ (পৃষ্ঠা-১৯৩) রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে লিখেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের পাঁচ বছরের শাসনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল, ইলিশ মাছ ধরা পড়ত। মানুষ মনে করল, তারা এমন একজন রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছে, যিনি সৎ। নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য লুটপাটের চিন্তা ছিল না, দেশের উন্নতির চিন্তা ছিল। তিনি খাল কেটে দেশ বদলাতে চেয়েছিলেন। জিয়া লোক দেখানো সৎ ছিলেন না, আসলেই সৎ ছিলেন। তার মৃত্যুর পর জানা যায়, জিয়া পরিবারের কোনো সঞ্চয় ছিল না।’
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যেখানে সব নাগরিকের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে এবং সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। যেখানে কোনো এক গোষ্ঠী, জাতি বা শ্রেণি বিশেষ সুবিধা পায় না, বরং সবাই রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অংশ নেয়। তিনি শান্তি ও সহাবস্থানের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তার ভাষায়, ‘ভাষা যদি একটি ফুল হয়, ধর্ম আরেকটি ফুল। ধর্ম, ভাষা, সাহিত্য- সংস্কৃতি, ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ফুল নিয়ে যে তোড়া বেঁধেছি এটিই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।’ ১৯৮০ সালে একটি কর্মশালায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘ধর্মকে ভিত্তি করে রাজনীতি করা উচিত নয়। ধর্ম রাজনীতিতে অবদান রাখতে পারে, তবে রাজনীতি কখনোই ধর্মের ভিত্তিতে হতে পারে না।’ তিনি ধর্মীয় আবেগের পরিবর্তে আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি গুরুত্ব দেন, যা দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। তার এই চিন্তা আজও বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ দফা কর্মসূচি : দেশের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। শাসনতন্ত্রের মূলনীতি প্রতিফলন করা। আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে গড়ে তোলা। জনসাধারণের অংশগ্রহণে প্রশাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রম নিশ্চিত করা। কৃষি উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতি জোরদার করা। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও কেউ যেন ভুখা না থাকে তার ব্যবস্থা করা। কাপড় উৎপাদন বৃদ্ধি ও সবার জন্য অন্তত মোটা কাপড় সরবরাহ নিশ্চিত করা। গৃহহীনদের জন্য ব্যবস্থা করা। নিরক্ষরতা দূর করা। ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা। নারীর মর্যাদা ও যুবসমাজকে জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করা। বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন উৎসাহিত করা। শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নত করা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা করা। সরকারি চাকরিজীবীদের জনসেবা ও দেশ গঠনে উৎসাহিত করা। জনসংখ্যার বৃদ্ধি রোধ করা। বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা ও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করা। প্রশাসন ও উন্নয়ন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা। দুর্নীতিমুক্ত ন্যায়নীতিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ ও জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করা। এই ১৯ দফা কর্মসূচি ছিল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একটি কালজয়ী অবদান, যা রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের মতে একটি যুগোত্তীর্ণ ‘ভিশন’ হিসেবে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনায় নানা ঐতিহাসিক ও সৃজনশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যা দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। ইরান-ইরাক যুদ্ধে ভূমিকা রেখে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় করেন। মুসলিম উম্মাহকে একত্র করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সার্ক প্রতিষ্ঠা করে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ও উন্নয়নের ভারসাম্য রক্ষা করেন। গার্মেন্টস শিল্পের সূচনা করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেন। বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠিয়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেন।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষি উন্নয়ন ও সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণের জন্য খাল খনন কর্মসূচি প্রবর্তন করেন। যা কৃষকদের জন্য সেচ সুবিধা প্রদান ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ খাল খনন করা হয়, যার ফলে কৃষিতে বিপ্লব ঘটে এবং গ্রামীণ জনগণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে। তিনি মাছ চাষ ও গবাদিপশু পালনের জন্যও উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যার ফলে আমিষের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। তিনি উন্নত জাতের গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির খামার প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়তা প্রদান করেন। তিনি আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে উন্নয়নের গুরুত্বের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘দরিদ্রতা, নিরক্ষরতা এবং রোগের মতো সমস্যাগুলো সমাধান না করলে রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব কোনো অর্থ রাখে না।’ তার মতে, ‘শুধু আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখলেই একটি উন্নত এবং সুষ্ঠু বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’ তিনি দ্বিবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন, যা কৃষি উৎপাদন বাড়ানো এবং জনগণের জীবনমান উন্নত করার দিকে গুরুত্ব দিয়েছিল। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটান। বেকারত্ব দূর করতে এবং যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেন, যার মধ্যে যুব মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও যুবকদের প্রশিক্ষণ প্রদান অন্তর্ভুক্ত। নারীদের ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান এবং যুবকদের জন্য উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা তার অন্যতম অবদান। তার চিন্তা-ভাবনা ছিল ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভর জাতি গড়ে তোলা। তার রাষ্ট্র পরিচালনায় সততা ও নিষ্ঠা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ছিলেন এবং নিজের পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের জন্য কোনো প্রকার বিশেষ সুবিধা নেননি। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সংস্কৃতিচর্চা, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ঐক্য, সহিষ্ণুতা এবং উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি জাতীয় সংস্কৃতিচর্চার জন্য নানা উদ্যোগ নেন, যেমন জাতীয় সাহিত্য, ক্রীড়া কেন্দ্র, শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করেন। গণতন্ত্র মানে জনগণের শাসন। প্রাসাদ-রাজনীতি, স্বৈরাচারী রাজনীতি, সামরিক রাজনীতি, গণতন্ত্রের নামে অগণতান্ত্রিক রাজনীতি এবং একদলীয় রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও তার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্র পরিচালনা করে জনগণকেই করেছেন ‘ক্ষমতার উৎস’ এবং জনগণের কল্যাণের জন্য নিয়েছেন সব কর্মসূচি, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে করেছেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ তিনি আর কেউ নন, তিনিই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি রাজনীতিকে গ্রামের মানুষের কাছে নিয়ে যান এবং তাদের সার্বিক উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখেন। সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত না করে নিজে বেরিয়ে আসেন সেনা প্রভাব থেকে, যা পৃথিবীর বুকে অনন্য দৃষ্টান্ত। যেটা সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ ও সেনা কর্মকর্তাসহ অনেকের মনঃকষ্টের কারণ হয়েছে।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাংগঠনিক সম্পাদক- ডিইউজে