এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন ফরাসি কবি ও সাহিত্যিক ফ্রেদেরিক মিস্ত্রাল। তার জন্ম ১৮৩০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের মাইয়ান গ্রামে। তার বাবা ফ্রান্সের রোন নদীর উপত্যকার সম্ভ্রান্ত কৃষক ছিলেন। তিনি পড়াশোনা করেন আভিনিয়োঁ কলেজে। কলেজ জীবনেই তিনি হোমার, ভার্জিলসহ বিভিন্ন লেখকের সাহিত্য পড়ে ফেলেন। কলেজের পাঠ শেষ করে তিনি আইন বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা শুরু করেন। আইনশাস্ত্রে পড়লেও তার মধ্যে কাব্যচর্চার প্রেরণা সর্বদা জাগরূক ছিল। আইন পাস করার পর ১৮৫১ সালে তিনি পুরোদমে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। সাহিত্যচর্চায় সঙ্গী হয়েছিলেন তার বেশ কিছু বন্ধু। এই বন্ধুদের সঙ্গে মিলেই তিনি ফ্রান্সের বিখ্যাত প্রোভঁসাল সাহিত্যের পুনরুজ্জীবনের জন্য একসঙ্গে কাজ শুরু করেন। এ সময়ই তিনি তার বিখ্যাত মহাকাব্য ‘মিরেইও’ রচনা করেন। এর বিষয়বস্তু ছিল এক কিশোরীর প্রেমের আকুতি। এটি পাঠ করে ফরাসি কবি আলফোঁস দ্য লামার্তিন বলেছিলেন, ‘এক মহান কবির জন্ম হলো।’ তিনি ১৯০৪ সালে স্পেনীয় সাহিত্যিক হোসে এচেগারাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার অন্য বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘স্বর্ণদ্বীপপুঞ্জ’ প্রকাশিত হয় ১৮৫৭ সালে। বইটি প্রকাশের এক বছর পর ১৮৫৮ সালে তিনি দিজোঁ শহরের মেরি বিভিইরিকে বিয়ে করেন। তার জীবনের শেষ রচনায় বাল্যকালের স্মৃতিবিজড়িত রোন নদীর গতিপথের দুই পাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য বর্ণনা করেছেন। মিস্ত্রাল শেষ জীবনে ব্রংকাইটিস রোগে আক্রান্ত হন।