বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ইবাদতে কাটুক শেষ দিনগুলো

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৪ এএম

রমজানের শুরুতে আমরা যে উদ্দীপনায় ইবাদত শুরু করি, শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারি না। রমজানের শুরুতে মসজিদে জায়গা হয় না। আর শেষের দিকে মুসল্লির সংখ্যা অনেক কমে যায়। যেন কোনো এক অদৃশ্য শক্তি মুসলমানদের দুনিয়াবি কাজে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আমরা সবাই জানি, জীবনের হাজারো ব্যস্ততা এবং পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি দুর্বলতা আমাদের ইবাদত থেকে দূরে সরিয়ে নেয়।

রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে এক মহান সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতেন। তিনি যেন রমজান মাসের প্রতিটি দিনের শুরুর মুহূর্তকে একটি নতুন প্রস্তুতি, নতুন উদ্দীপনা ও একাগ্রতার সঙ্গে উদযাপন করতেন। তার প্রতিটি কর্মেই ছিল আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক গভীর আকাক্সক্ষা। রমজান শুরুর দিনগুলোতে তিনি যেমন আগ্রহের সঙ্গে ইবাদত করতেন, তার চেয়েও অধিক উৎসাহের সঙ্গে মাসের শেষ দশকেও ইবাদত করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে যে পরিমাণ আমল করতেন, অন্য কোনো সময় এত বেশি আমল করতেন না।’ (সহিহ মুসলিম) রমজানের শেষ দশকে শুধু তিনি নিজে ইবাদত করতেন না, বরং পরিবারের সদস্যদেরও উৎসাহিত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, যখন রমজানের শেষ দশদিন আসত, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) পরিধেয় বস্ত্রকে শক্ত করে বাঁধতেন, রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।’ (সহিহ বুখারি) রমজানের শেষ দশকের সঙ্গে সম্পর্কিত এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো মহিমান্বিত রাত শবেকদর, যা হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। এ রাত আমাদের জন্য এক অমূল্য উপহার। রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে, আমরা যেন শেষ দশকের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হই এবং এই মহিমান্বিত রাত লাভের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিই। আর বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, দান-সদকাসহ প্রভৃতি কল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা কাম্য।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত