দেশে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা বেশ চাহিদাসম্পন্ন। আপনি চাইলেই কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস খুব ভালো একটা জায়গায় থাকতে হয়। যেমন কোনো বড় শপিং মল, পার্ক বা হাসপাতাল মোটকথা জনবহুল স্থানে। তাহলে গ্রাহকরা সহজে পৌঁছাতে এবং সেবা নিতে পারে।
ব্যবসা শুরু করার জন্য সরকারি লাইসেন্স দরকার। না হলে সরকারিভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। ব্যবসার জন্য আপনার যেসব কাগজপত্র দরকার হবে তাহলো ট্রেড লাইসেন্স, অঙ্গীকারনামা, সংঘ স্মারক ও বিধির কপি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সনদপত্র, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, আয়কর সনদপত্র, যানবাহনের তালিকা, প্রধান কার্যালয়ের দলিল বা ভাড়া চুক্তিনামার ছবি, জীবন বৃত্তান্ত, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল ইত্যাদি।
বিশ্বাসযোগ্য কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার মূল বিষয় হলো বিশ্বাসযোগ্য কর্মচারী থাকা প্রতিষ্ঠানে। যারা এক গ্রাহক থেকে জিনিস সংগ্রহ করবে এবং অন্য গ্রাহকের কাছে ঠিকমতো জিনিস পৌঁছে দিতে পারবে। কর্মচারীদের দায়িত্ব হলো জিনিসপত্রের সুরক্ষা, ডেলিভারি জিনিসপত্র চুরি হওয়া থেকে চিন্তামুক্ত রাখা।
একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য কর্মচারী থাকলেই ব্যবসায় খুব দ্রুত উন্নতি করা যায়। যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে দেখে নিতে হয়, কী করে আপনি গ্রাহকদের টার্গেট বা আকর্ষণ করবেন। কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করার আগে জেনে নিতে হবে যে, আপনি কোন গ্রাহকদের টার্গেট করবেন। এই গ্রাহক আকর্ষণ পুরোটাই ভরসা করে আপনার পণ্য নির্ধারণের ওপর। যেমন ধরুন, আপনি পোশাক ও গৃহপণ্য ডেলিভারি হিসেবে নির্ধারণ করলেন তাহলে আপনার গ্রাহক হবেন তারা কেমন পোশাক, শাকসবজি বা গৃহপণ্য বেশি পছন্দ করেন। গ্রাহক নির্ধারণের সময় যা করতে হবে তা হলো সব ধরনের পূর্ণ নির্ধারণ করতে হবে। ডেলিভারি চার্জ কম, কুইক ও ফাস্ট সার্ভিস দেওয়া, গ্রাহকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা। ব্যবসার শুরুতে আপনি যদি গ্রাহক সন্তুষ্ট করতে পারেন তাহলে এই গ্রাহকই বারবার ফিরে আসবেন। আপনার কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা অনেক ভালো চলবে। তাই প্রথমে, গ্রাহকদের আকর্ষণ করার ব্যাপারে চিন্তা করুন।
পার্সেল ডেলিভারির জন্য সঠিক বাহন নির্ধারণ করা জরুরি। কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করার আগে একটি গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে আপনার পার্সেলগুলোর ডেলিভারি দেওয়ার জন্য। কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ হলো দূরদূরান্তে পার্সেল পৌঁছে দেওয়া আর তাই দ্রুত পার্সেল পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন বাহন। গাড়ি, পিকআপ ভ্যান, ট্রাক বা অন্য যে কোনো বাহন আপনি পার্সেল ডেলিভারির জন্য ব্যবহার করতে পারেন। বাহন নির্ধারণ করার আগে যা খেয়াল রাখতে হবে যত দ্রুত সময়ে পার্সেলগুলো পৌঁছানো এবং সুরক্ষিত রাখা।
কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করে আপনি লাভবান হতে পারেন যদি আপনি সঠিকভাবে ব্যবসার সব নিয়ম মেনে চলেন। ব্যবসার শুরুতে বিশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকার দরকার হবে। মনে রাখবেন কুরিয়ার ব্যবসার সুনামই ব্যবসার সাফল্য ধরে রাখবে।