অনেকেই আছেন নিয়মিত ব্যায়াম করছেন, ডায়েটও করছেন। তারপরও ওজন কমে না। যার ফলে হতাশা ভর করে। কেন ওজন কমে না জেনে নিন।
মানসিক চাপ : কাজ, ব্যক্তিগত জীবন, অতিরিক্ত শরীরচর্চা, যে কোনো একটি অথবা তিনটিই একত্রে মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব পড়তে পারে। সেই কারণেই অতিরিক্ত চর্বি জমতে থাকে শরীরে। শক্তিবৃদ্ধি এবং মেদ ঝরানোর জন্য পেশির পুনরুদ্ধার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কাজটি সফল করতে সাহায্য করে ঘুম। কিন্তু যদি মানসিক চাপের কারণে ঘুম ভালো না হয়, তা হলে ওজন কমানোয় বাধা সৃষ্টি হতে পারে। ভালো ঘুম না হলে খিদেও বেড়ে যায়। তাতে চর্বি জমার কাজটি দ্রুত হয়। প্রতিরাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দরকার।
অতিরিক্ত শরীরচর্চা : শরীরচর্চার পাশাপাশি অন্য কোনো ধরনের কাজকর্মে ব্যস্ত থাকেন, সেটি নিয়ে ভাবার দরকার রয়েছে। সারা দিন ধরে অল্পবিস্তর নড়াচড়া করা, হাঁটাহাঁটি করা, ঘরদোর পরিষ্কার করা, সবই দৈনিক ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি জিমে বা বাড়িতে শরীরচর্চা করার সময়ে সমস্ত শক্তি ক্ষয় করে ফেলেন, তা হলে সারা দিনে সাধারণ কাজগুলো করার মতো ক্ষমতা থাকবে না। ফলে শরীরচর্চার ওই সময়টুকু ছাড়া দিনের বাকি সময়ে আপনিও নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকেন। নড়াচড়া নেই। তাতে লাভ হয় না। উল্টে ক্ষতি হয়। যত ক্যালোরি ঝরাতে পেরেছিলেন, ততখানিই আবার শরীরে যুক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে হলে শরীরচর্চার সময়ে সব শক্তি ক্ষয় করে দিলে চলবে না। অন্যান্য সময়ে ঘরের কাজ বা হাঁটাচলা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে সমতা বজায় রাখতে হবে।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়া : আপনি সঠিক পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ করেন, কিন্তু সব সময় ক্ষুধার্ত রয়েছেন, তা হলে নজর দিতে হবে খাবারের দিকে। ফলমূল এবং শাকসবজির মতো উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। এই ধরনের খাবার খিদেও মেটাবে, ক্যালোরির ঘাটতি হতে দেবে না এবং ওজনও বাড়াবে না। তবে, ধীরে ধীরে এবং পেটে অল্প জায়গা রেখে খেতে হবে।
অত্যন্ত কম খাওয়া : ঠিক যেমন অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে, তেমনই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পেটে না পড়লে শরীরের গঠন পরিবর্তন হতে পারে। খুব কম সময়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি ঝরানো বিপাকক্রিয়ার গতিতে লাগাম টানতে পারে। শরীরকে সঠিকভাবে জ্বালানির জোগান দিলে তবেই শক্তি সঞ্চয় হবে।