জাতীয়পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজ মঙ্গলবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ বছর সাত বিশিষ্ট ব্যক্তি মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পাচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক বিতরণ করা হবে বলে গতকাল তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন, তারা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে কবি মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম নকশাকার নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে পপসম্রাট মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর) এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)। আবরার ফাহাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে তিনি নিহত হন।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম সোনার পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। গত বছর (২০২৪) ১০ জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
গত ২ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে জাতীয় পুরস্কার-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এবার আমরা একুশে পদক যেভাবে দিয়েছি, আমরা একবারই সম্ভবত এ পুরস্কারগুলো দিতে পারব। কিন্তু দেখেই যেন মনে হয় এ পুরস্কারগুলো অনন্যধর্মী, অন্য বছর এ ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয় না। পরেও দেওয়া হবে কি না আমি জানি না।’