১৮২৭ সালের ২৬ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন বিখ্যাত জার্মান সংগীতজ্ঞ, সুরকার ও পিয়ানোবাদক বেটোফেন। পুরো নাম লুডভিগ ফান বেটোফেন। জন্ম বন শহরে ১৭৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর। সংগীতে কঠোর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে কেটেছে তার শৈশব। আর জন্মগত প্রতিভা তো ছিলই। সংগীতকে তিনি আনতে পেরেছিলেন মানুষের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য সোনাটা, সিম্ফনি, বাজিয়েছেন পিয়ানো ও অর্কেস্ট্রা। তরুণ বয়সে তিনি জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে আসেন ও সেখানেই বাকি জীবন কাটান। এখানে তিনি ইয়োসেফ হেইডনের অধীনে দীক্ষা নেন এবং শিগগিরই অসামান্য কৌশলী পিয়ানোবাদক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। অল্প বয়সেই শ্রুতিজনিত এক সমস্যা দেখা দেয় তার, যা তাকে সব সময় পীড়িত করত। কিন্তু তবু সংগীত রচনা থেকে বিরত থাকেননি তিনি। ১৮১০ সালে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছান বেটোফেন। অন্যদিকে কানের অসুখটাও বাড়তে থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বধিরত্ব আর রোধ করা যায়নি। এর মধ্যেই ১৮২৪ সালে জগদ্বিখ্যাত নবম সিম্ফনি শেষ করেন তিনি। বেটোফেনের এক লেখায় ফুটে ওঠে তার সেই মর্মবেদনা ‘ওহে মানুষগণ, তোমরা আমাকে মনে কর বৈরীভাবাপন্ন, একগুঁয়ে, অসামাজিক এক ব্যক্তি। কিন্তু তা যে আমার প্রতি কী অন্যায় ও অবিচার!’ এই ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের মধ্যেও তিনি বিশ্বকে বহু দিন ধরে অসাধারণ সব ‘মাস্টারপিস’ উপহার দিয়ে যান। বেটোফেন ছিলেন প্রথম ‘ফ্রি-ল্যান্স’ সুরকারদের একজন তিনি ভাড়ায় কনসার্ট পরিচালনা করতেন, তার সুর প্রকাশকদের কাছে বিক্রি করতেন ও কিছু সহৃদয় ধনীর কাছ থেকে ভাতা পেতেন।