ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে আলাদা করে আগুন জ্বালানোর প্রয়োজন নেই। আগুন লেগেই থাকে। রাফিনহার সম্ভবত ফুঁ দিয়ে সেই আগুন উসকে দেওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল। কিন্তু আগুনে উল্টো মুখটাই পুড়ল রাফিনহার!
মনুমেন্তালে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের আগের ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী রোমারিওর সঙ্গে ‘রোমারিও টিভি’ পডকাস্টে রাফিনহা বলেছিলেন, ‘আমরা ওদের গুঁড়িয়ে দেব। কোনো সন্দেহ নেই। একদম গুঁড়িয়ে দেব মাঠের ভেতরে, দরকার পড়লে মাঠের বাইরেও।’
ম্যাচে কী দেখা গেল? ব্রাজিলকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে আর্জেন্টিনা। ৩৭ মিনিটের মধ্যে করেছে তিন গোল। বিরতির পর আরও একটি। বাস্তবতা হচ্ছে, আরও তিন-চারটি গোল করতে পারত আর্জেন্টিনা। মিস করেছেন ফার্নান্দেজ-পারেদেসরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ বলছেন, রাফিনিয়া অপরিণামদর্শী হয়ে হুংকার না ছাড়লে আর্জেন্টাইনরা এভাবে জ্বলে উঠতেন না!
ম্যাচ শেষে জুলিয়ান আলভারেজ বলেছেন, ‘ম্যাচের আগে তারা যে কথা বলেছে, যেভাবে বলেছে, তা এই ম্যাচের পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছে। তবে আমরা আমাদের কাজটা করেছি, দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি। আমরা ওদের নাচিয়ে ছাড়লাম।’
রাফিনিয়ার কথায় তেতে উঠে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে চার গোল দেয়নি এটাই অবশ্য বুঝিয়েছেন কোচ স্কালোনি। তবে এসব যে বলতে নেই কিংবা তেমন ওজনদার খেলোয়াড় হওয়ার পর বলা উচিতসেটাও পরোক্ষভাবে রাফিনহাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ, ‘এটা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, এই ম্যাচ নিয়ে এমন সব কথা বলার দরকার নেই। আমরা সে জন্য এভাবে খেলিনি। আমি রাফিনহাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কারণ, আমি জানি সে ইচ্ছা করে এটা বলেনি; সে তার দলের হয়ে বলেছে।’
আর্জেন্টিনার কাছে এমন হারে বেশ চাপে পড়েছেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। ব্রাজিলে তাকে ছাঁটাইয়ের দাবি উঠেছে। দরিভালও স্কালোনির কৌশলের কাছে পর্যুদস্ত হওয়াটা স্বীকার করে নিলেন। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘প্রথম মিনিট থেকেই আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। যা ঘটেছে, তাতে স্বীকার করতেই হবে, আমাদের পর্যুদস্ত করে তারা যোগ্যতর দল হিসেবেই জিতেছে। এই হার তাৎপর্যপূর্ণ। তবে সন্দেহ নেই আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বের করতে পারব।’
হারের পর দরিভালের পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মারকিনিওস, ‘এটা শুধু কোচের ভুল নয়, খেলোয়াড়দেরও। আজ যা ঘটেছে, তা যেন আর না ঘটে।’