হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের ৯টি কড়ইগাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে জেলা পরিষদ মিলনায়তনের আঙিনায় থাকা ৯টির মধ্যে ৫টি কেটে ফেলায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রায় ৪০ বছরের পুরনো গাছগুলো এতদিন পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, মিলনায়তনের বাউন্ডারি ওয়াল রক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পরিষদের মাসিক সভায় ৬৯ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে একমত হন উপস্থিত কর্মকর্তারা। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বড় বড় ৫টি গাছ কেটে ফেলেছেন ঠিকাদারের লোকজন।
এদিকে গাছ কাটার খবর শুনে পরিবেশকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানান। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও গাছকাটা কমিটির সদস্য সচিব নূরুল ইসলাম বলেন, গাছগুলোর কারণে মিলনায়তনের সীমানা দেয়ালের ক্ষতি হচ্ছিল। তবে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় বাকি গাছগুলো কাটা স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের প্রশাসক ও হবিগঞ্জের ডিসি ড. ফরিদুর রহমান বলেন, বয়সের কারণে গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তা কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।