অবিশ্বাস্য, নাটকীয় নাকি অলৌকিক! ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইউরোপা লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটে ও লিওঁর ম্যাচের গল্প দীর্ঘদিন মনে রাখবেন ফুটবলপ্রেমীরা। ৯ গোলের ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে থেকে প্রত্যাবর্তন লিওঁর, এরপর এক লাল কার্ড, অতিরিক্ত সময়ে ফের দুই গোল হজম করে স্বাগতিকদের পিছিয়ে পড়া, তা শোধ করে যোগ করা সময়ের গোলে জয়। এমন ম্যাচে শেষ হাসিটা হেসেছে স্বাগতিকরাই। ম্যানইউ ৫-৪ গোলে হারিয়েছে লিওঁকে। এই দুই দলের প্রথম লেগ হয়েছিল ২-২ গোলে ড্র। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ ব্যবধানে জিতে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে ম্যানইউ।
প্রথম লেগে ম্যানইউর দুই গোল হজমের পেছনে বড় দায় ছিল গোলকিপার আন্দ্রে ওনানার। এক ম্যাচ (প্রিমিয়ার লিগে ছিল) পর দলে ফিরে দারুণ কয়েকটি সেভ করলেন ওনানা। তাতে হয়ে ওঠেন রূপকথার গল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ম্যাচের গোল উৎসবের শুরুটা দশম মিনিটে, আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাসে ম্যানইউকে এগিয়ে দেন ম্যানুয়েল উগার্তে । প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো দালোত। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে আসে নাটকীয় মোড়, ৭১ মিনিটে তোলিসো হেডে ব্যবধান কমানোর পর ৭৭ মিনিটে সমতা টানেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।
৮৯ মিনিটে লেনি ইয়োরোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ফরাসি মিডফিল্ডার করেন্টিন তোলিসো। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ স্কোরলাইন হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। ১০৪ মিনিটে রায়ান শের্কি বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন। ডি-বক্সে ম্যানইউ ডিফেন্ডার লুক শ ফোফানাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় লিওঁ। অ্যালেকজান্দ্রে লাকাজেতে স্পটকিকে গোল করেন। তাতে স্কোর হয় লিওঁ ৪-২ ম্যানইউ।
স্বাগতিক সমর্থকদের চোখেমুখে তখন তীব্র হতাশার ছাপ। তবে নাটকীয়তার তখনো বাকি। কাসেমিরো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ম্যানইউ। ১১৪তম মিনিটে সফল স্পট কিকে গোল করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। ১২০তম মিনিটে কাসেমিরোর পাস থেকে সমতা টানেন কবি মেইনু। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৬-৬। পরের মিনিটেই (যোগকরা সময়ে) প্রতিপক্ষকে স্তব্ধ করে জয় ছিনিয়ে নেয় ম্যানইউ। এবারও অ্যাসিস্টের ভূমিকায় কাসেমিরো, তার ক্রসে হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেড লিওঁর জালে জড়ালে উল্লাসে ফেটে পড়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড।
ম্যানইউ সেমিফাইনালে খেলবে রেঞ্জার্সকে ২-০ গোলে হারানো অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে। অন্য সেমিতে মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম ও গ্লিম্ট।
