চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের পর শনিবার লা লিগায় অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। লিগে আগের ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ায় এদিন দলে থাকতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। বার্নাব্যুতে বল দখলে এগিয়ে থেকে একের পর এক শট করেও প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে পারছিল না স্বাগতিকরা। বিলবাও আগের লেগে রিয়ালকে হারিয়েছিল। তবে কি এবারও পয়েন্ট হারাবে আনচেলত্তির দল! তবে ম্যাচের শেষদিকে দারুণ এক গোল করলেন ফেদে ভালভার্দে। এই জয়ে লা লিগার শিরোপা লড়াইয়েও টিকে থাকল লস ব্লাঙ্কোসরা।
৮২ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গোল করলেও ভিএআরে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি। কিছুক্ষণ পর বেলিংহ্যাম ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির দাবি তোলে রিয়াল, কিন্তু রেফারি রিয়ালের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেননি। যোগকরা সময়ে বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত এক ভলি মারলেন ভালভার্দে, বিলবাও গোলকিপার চেষ্টা করতে গিয়েও থেমে গেলেন, তার সাধ্যের বাইরে! তার এই গোলেই মূল্যবান তিন পয়েন্ট পেল লস ব্লাঙ্কোসরা।
ভালভার্দের শটে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের গোলকিপারের যে অভিজ্ঞতা হলো, সেই অভিজ্ঞতা অনুশীলনে নিয়মিতই হয় থিবো কর্তোয়ার। রিয়াল মাদ্রিদের গোলকিপার শোনালেন সেই গল্প। কর্তোয়া ফেদে ভালভার্দেকে নিয়ে বলেন, “ফেদের এ রকম অস্বাভাবিক শট নেওয়ার ক্ষমতা আছে, খুবই ভালো তা। (ম্যাচের আগের দিন) অনুশীলনে সে এ রকম একটি শট নেয়, যা মনে হচ্ছিল বাইরে চলে যাচ্ছে, কিন্তু আচমকা ঘুরে এটা ভেতরে ঢুকে যায়। আমি বললাম, ‘এটা কীভাবে করলে?’ খুবই গতিময় ও শক্তিশালী শট। অনুশীলনে এ রকম গোল সে প্রতি সপ্তাহেই এক-দুটি করে থাকে। আমরা ওকে অনেক দিন ধরেই বলছি, শট নাও, সুযোগ পেলেই শট নাও।” ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, ‘ভালভার্দে এই ম্যাচে ছিল দুর্দান্ত। প্রথমার্ধে আমরা কিছুটা ধীরগতির খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেছি আমাদের নিজেদের রূপে। আর্সেনালের কাছে হেরে বিদায়ের পর আমরা একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলাম, সেটা আমরা দিয়েছি।’
৩২ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্টে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে বার্সেলোনা ৭৩ পয়েন্টে শীর্ষে।