চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সোমবার রাতে বার্নলির কাছে ২-১ গোলে হেরেছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। তাতে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে উন্নীত হওয়ার সুযোগ হারিয়েছে হামজা চৌধুরীর দল। এই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে লিডস ইউনাইটেড ও বার্নলির প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তন। তবে শেফিল্ডের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। তাদের প্রিমিয়ার লিগে উঠতে খেলতে হবে কঠিন প্লে-অফ পর্ব। বার্নলির বিপক্ষে শুরুর একাদশেই ছিলেন বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী, খেলেছেন রাইট-ব্যাক হিসেবে। ম্যাচ শেষে বার্নলি সমর্থকদের আচরণে হামজাকে ঘিরে তৈরি হয় অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি। ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় সেই ঘটনা।
শেফিল্ডের বিপক্ষে জয়ে বার্নলির আগামী মৌসুমে ইপিএলে খেলা নিশ্চিত হয়েছে। তা উদযাপনে স্বাগতিক দলের সমর্থকদের অনেকে মাঠে নেমে গিয়েছিলেন। বার্নলির খেলোয়াড়রাও সেই উদযাপনে যোগ দেন। টিভি পর্দায় দেখা যায়, ক্ষিপ্ত অবস্থায় মাঠ ছাড়ছেন হামজা। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে টানেলে নিয়ে যান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’ জানিয়েছে, মাঠে নেমে পড়া দর্শকদের আপত্তিকর আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হামজা। লেস্টার সিটি থেকে শেফিল্ডে ধারে খেলা হামজাকে সামলাতে বেগ পেতে হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের। বার্নলির খেলোয়াড় ও সমর্থকদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় হামজাকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, বার্নলির এক সমর্থক তার মুখের ওপর উদযাপন করে আরও খেপিয়ে তোলেন। স্কাই স্পোর্টসের ক্যামেরায় দেখা গেছে, নিরাপত্তাকর্মীরা এ সময় সামলে রাখার চেষ্টা করছিলেন হামজাকে। ক্রোধে দিশাহারা হামজা নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা ভেঙে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একজন স্টাফ সদস্য এ সময় জোর করেই টানেলের ভেতর নিয়ে যান। শেফিল্ড ইউনাইটেডের কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার ঘটনাটি এত বড় করে দেখছেন না। ‘তেমন কিছু না। বড় জয়ে তারা মাঠে নেমে উদযাপন করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সমর্থকরা টানেলের পাশেই গ্যালারিতে বসেছিল। ফলে সবাই এতে (ঝামেলা) জড়িয়ে পড়েছে।’
টার্ফ মুরে ম্যাচের ২৮ মিনিটে গোল করে বার্নলিকে এগিয়ে দেন জশ ব্রাউনহিল। তবে ৩৭ মিনিটে থমাস কেননের গোলে সমতায় ফিরেছিল শেফিল্ড। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আনেল আহমেদ হদজিচের ফাউলে পেনাল্টি পায় বার্নলি। স্পটকিকে ব্যবধান বাড়ান ব্রাউনহিল। বাকি সময়ে দুই দলই গোলের চেষ্টা করে তবে স্কোরলাইনে পরিবর্তন আসেনি।
৪৪ ম্যাচ শেষে হামজার শেফিল্ডের পয়েন্ট এখন ৮৬। ২ পয়েন্ট জরিমানা না হলে অবশ্য কাগজে-কলমে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা এখনো টিকে থাকত দলটির। লিগের আরও দুটো ম্যাচ বাকি। শেষ দুটিতে হারলেও শেফিল্ডের তৃতীয় স্থান নিশ্চিত। তাই প্লে-অফে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে দুটি ম্যাচ খেলতে হবে ষষ্ঠ হওয়া দলের সঙ্গে। জিতে উঠতে হবে ফাইনালে। জিততে হবে ফাইনাল ম্যাচ। তবেই মিলবে প্রিমিয়ার লিগের টিকিট। গত বছর শেফিল্ডের মতো অবস্থানে থাকা লিডস প্লে-অফ ফাইনালে হেরে যায় সাউদাম্পটনের কাছে।
