অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিট শেষ। এক মিনিট বিরতি দিয়ে পরের ১৫ মিনিট শুরুর বাঁশি দেওয়ার কথা রেফারির। তখনো সন্ধ্যা নামার অনেক সময় বাকি। অথচ ফেডারেশন কাপের ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারি সায়মন হাসান খেলা শুরু না করে ডাকলেন দুই দলের খেলোয়াড়দের। বললেন তখন খেলা শুরু করলে নাকি বাকি ১৫ মিনিট পুরো সময় তা চালানো যাবে না। মাগরিবের আজান পড়ে যাবে। তাই তিনি খেলা না চালানোর সিদ্ধান্ত জানালেন। আবাহনী তা মেনে নিতে চায়নি। তাদের দাবি খেলা শুরু হোক, যদি আলোকস্বল্পতায় খেলা অসম্ভব হয়, তখন রেফারি খেলা বন্ধ করুক। সেই দাবি অবশ্য মানলেন না রেফারি সায়মন। আবার স্থগিতের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তও দিতে দেরি করলেন। তাতে কেটে যায় ১০ মিনিটের বেশি। এরপর তিনি সহকারীদের নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামের মাইকে খেলা স্থগিতের ঘোষণা আসে। রেফারির এমন আচরণে বিস্মিত আবাহনী। রেফারির খেলা না চালিয়ে সময় ক্ষেপণ মেনে নিতে পারছে না দলটি।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিটের ১২ মিনিটে ফাইনালের আরেক দল বসুন্ধরা কিংস পরিণত হয়েছিল দশজনের দলে। অর্থাৎ বাকি সময়টা আবাহনী বাড়তি সুবিধা কাজে লাগানোর সুযোগ পেত। সেই সুযোগটা হারাতে চায়নি আবাহনী। চেয়েছিল আলোকস্বল্পতার আগ পর্যন্ত খেলতে। তবে রেফারি সায়মন পর্যাপ্ত আলো থাকাবস্থায় খেলা স্থগিত করে মাঠ ছাড়েন। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেন, ‘সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেফারি। সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক তিনি। টিম সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। যদি আলো নিয়ে সমস্যা থাকে, সেটা অন্য বিষয়, কিন্তু এখানে কি আলো ছিল না! সেটা আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে।’ এরপর যোগ করেন, ‘সবকিছু বাইলজ অনুসরণ করে হওয়ার কথা। আমরা যখন এখানে খেলতে এসেছি, বাইলজ নিয়েই এসেছি। এখানে বাইলজ অনুসরণ করতে হবে, এটাই বাস্তবতা। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, যে আলো ছিল, তা নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া যেত।’
‘আমি জানি না, আমরা তুলনামূলক ভালো পজিশনে ছিলাম কি না, তবে পরিস্থিতি যেটা বলছে, ১১ জন বনাম ১০ জন, আমার মনে হয় যে, সেখানে একটু অ্যাডভান্টেজ তো (আমাদের) ছিলই। পরের কখন হবে আমরা জানি না, আমরা লিগ কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করব।’
এদিকে ম্যাচ কমিশনার তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান রেফারির সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখানে লিগ কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে, আলোকস্বল্পতার ব্যাপারে জুরিসডিকশন রেফারির, এই ক্ষমতা তার। সে যখন মনে করবে, তার। আমরা রেফারিকে বলিনি, আপনি এখন শুরু করবেন, এখন শেষ করবেন। যে কোনো সময় খেলা বন্ধ করতে পারবেন কেবল রেফারি। খেলা তো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা যাবে না। রেফারিকে এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’