মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মসজিদের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় এক যুবককে কুপিয়ে জখম ও আরেক যুবককে পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। আহত ওই যুবকের নাম মো. ফয়সাল (২৩)। তিনি উপজেলার বালুয়াকান্দী গ্রামের (শান্তি নগর) এলাকার শাহজাহানের ছেলে, যাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আহত অন্য যুবকের নাম মো. শাকিল তিনি একই এলাকার মো. তাজুল ইসলামের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টায় উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের বালুয়াকান্দী গ্রামের শান্তিনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, জুমার নামাজের আগে মসজিদে বাৎসরিক হিসাব চাওয়া ও দেওয়াকে কেন্দ্র করে মসজিদে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়, পরে নামাজ শেষে মসজিদের সামনে স্থানীয় দুই দল যুবকের হাতাহাতি হয়। যার ফলে পার্শ্ববর্তী মহল্লার সজলের বাবা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫-৬ জন যুবক ফয়সালকে কুপিয়ে জখম করে। বাঁচার জন্য মসজিদে প্রবেশ করলেও তারা তাকে অজুখানায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মো. হালিম মোল্লা বলেন, কমিটির সা. সম্পাদক হিসাব দিতে রাজি ছিল, কিন্তু সজলের চাচাতো ভাইয়েরা এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। যার ফলে তিনি পার্শ্ববর্তী মহল্লার লোকজন এনে আমাদের ওপর হামলা চালায়। সেক্রেটারি মো. মানিক মিয়া বলেন, হিসাব দেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু বাইরে যারা মারামারি করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের কমিটির কোনো সম্পর্ক নেই।
অভিযুক্ত সজল বলেন, এ ঘটনা সত্য নয়, আমার চাচাতো ভাই শাকিলকে মেরেছে এ কথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই, যাওয়ার পরে তারা আমাকেও মারপিট করে আহত করে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সহিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
