মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বহুত্ববাদ

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পিএম

বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক গৌরবোজ্জ্বল দেশ। তাই আমাদের সম্প্রীতির সংস্কৃতি নিয়ে আমরা বিশ্বে গর্ব করি। এই তো গত কদিন আগে হয়ে গেল মুসলিম বিশ্বের বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। এর বেশ আগে হয়েছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা এবং বিশ্বের বৌদ্ধদের প্রবারণা উৎসব ও শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব। এর পরপরই গত ডিসেম্বরে উদযাপিত হলো বিশ্ব খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব বড়দিন এবং গত কদিন আগে উদযাপিত হলো স্টার সান ডে। এর চেয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতির মেলবন্ধন আর কী হতে পারে? এটাই তো আমাদের মাটির সংস্কৃতি। আমরা বিশ্ববাসীকে বলি, আমরা তোমাদের মতো নই। আমরা অনেক উদার। আমাদের দেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এবং অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর মানুষেরা আমরা একসঙ্গে থাকি, একসঙ্গে বসবাস করি। আমাদের সংস্কৃতি লালন করি একসঙ্গে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে আমরা অংশগ্রহণ করি এবং আনন্দ করি একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির এ ধারা আমাদের ধর্ম-বর্ণ, সম্প্রদায়, জাতি-গোষ্ঠী সবার জন্য ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বহন করে। শুধু তাই নয়, সংস্কৃতির এ মিলন ও সখ্য আমাদের জাতীয় জীবনে এক অপূর্ব সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধন সৃষ্টি করে। এ সম্প্রীতি  আমাদের জাতীয় মানস তৈরির ক্ষেত্রেও অসাধারণ প্রভাব ফেলে এবং পারস্পরিক সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধনকে গভীর ও  সুদৃঢ় করে।

শান্তি ও সম্প্রীতি এ দুটি শব্দ খুবই কাছাকাছি এবং একে অন্যের পরিপূরক। সম্প্রীতির মাধ্যমে শান্তি স্থাপন যেমন সম্ভব; তেমনি শান্তির মাধ্যমে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাও সম্ভব। বলা বাহুল্য যে, মানবসভ্যতার ইতিহাসে জীবজগতের অনেক প্রাণীই ধ্বংস ও বিলুপ্ত হয়ে গেলেও মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রবলভাবে টিকে আছে। মানুষে মানুষে সহিংসতা, মারামারি-হানাহানি, ঘৃণা-বিদ্বেষ সব যুগে ছিল। তারপরও এদের মধ্যকার বন্ধনই প্রাণিজগতের ওপরে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বকে টিকিয়ে রেখেছে। প্রাণিজগতের অন্যান্য সব প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যেও  বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা রয়েছে। সে রকম মানুষের মধ্যেও। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলভেদে মানুষের মধ্যে বর্ণে, গোত্রে, লিঙ্গে, ভাষায়, সংস্কৃতিতে, শারীরিক গঠনে রয়েছে অনেক ভিন্নতা ও অনেক বৈচিত্র্য। তবে সমরূপিতার চেয়ে বৈচিত্র্য নিয়ে টিকে থাকার জন্য এবং সমাজ-সভ্যতা বিনির্মাণের জন্য এই ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য অধিক জরুরি। বাংলাদেশ এই ভিন্নতা, এই বৈচিত্র্য ধরে রেখেছে হাজার বছর ধরে।

ধর্মের ব্যাখ্যায় বলা যায়, জগতে যুগে যুগে যেসব ধর্মপ্রচারকরা, ঋষি-মুনিরা আবির্ভূত হয়েছেন তারা সবাই ধর্মের উপদেশ বাণী দিয়ে মানব জাতিকে রক্ষা এবং সুপথে পরিচালিত করার জন্যই এসেছেন। সুতরাং প্রতিটি ধর্মের এবং ধর্মগ্রন্থের উপদেশ হলো সুন্দর ও সঠিক পথে জীবন পরিচালনা করা এবং অন্ধকার থেকে আলোর পথে চলার উপদেশ ও পথনির্দেশ। তাই তো ধর্মগ্রন্থগুলোর অমূল্য ও প্রধান উপদেশ হলো এ রকম :

‘যেখানেই জীব, সেখানেই শিব।’ (ভগবদ্গীতা)

‘অহিংসা পরম ধর্ম, জীব হিংসা মহাপাপ।’ (ত্রিপিটক)

‘আমিই প্রথম এবং আমিই শেষ।’ (বাইবেল)

‘পড়, তোমার প্রভুর নামে পড় যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।’ (আল কোরআন)।

জাতির কর্ম হলো সত্য-সুন্দরের কাজ করা এবং সদ্ কর্ম সম্পাদন করা, যা নিজের এবং বিশ্বের সব মানবগোষ্ঠীর জন্য মঙ্গলময় এবং কল্যাণকর হয়। এই মঙ্গল বা কল্যাণময়তার মধ্যে জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় কিংবা হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম ও খ্রিস্টানের কোনো ভিন্নতা নেই, নেই কোনো ভেদাভেদ। এ জন্যই সব ধর্মে মানবতা, পারস্পরিক আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব,  শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সম্প্রীতি, সৌভ্রাতৃত্ববোধসহ একে অপরের নিকটবর্তী হওয়া এবং সুখে-দুঃখে, আনন্দে-বেদনায় সহমর্মিতা প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে,  প্রীতি-সম্প্রীতি ও সহ-অবস্থানের মধ্য দিয়ে দেশের সব কর্মে নিবেদিত হওয়ার কথাও। ‘ধর্ম’ আমাদের এই মহৎ কর্ম সম্পাদনে ও মানবীয় কর্তব্য সম্পাদনে উদ্বুদ্ধ করে। ‘ধর্ম’ নীতিপরায়ণ হতে শেখায় এবং মূল্যবোধ তৈরি করে।

বাংলাদেশের এই ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য গত কয়েক দশক থেকে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রান্তে এক ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ ও সহিংস কর্মকাণ্ড লক্ষ করা গেছে, এখনো চলছে। যদি বলি এর সূত্রপাত অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মার্কিন মুল্লুকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ ও ধর্মীয় সংস্কার, ইউরোপে দাসপ্রথা ও সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং আফ্রিকায় বর্ণ  বৈষম্যের ইতিহাস বিশ্বে নজর কাড়ার মতো। এও দেখা যায়, মানুষে মানুষে বৈচিত্র্যতা মেনে নেওয়ার বিরুদ্ধে ও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্য সহিংস কর্মকাণ্ডের শুরু শুধু কয়েক দশক নয়, বরং কয়েক শতাব্দী আগের। তবে গত দু’দশকের কাছাকাছি অর্থাৎ ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড নতুন মোড় নেয় এবং বিশ্বে এক চরম ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব বিবেককে অবাক করে দেয়। মূলত তখন থেকেই গত প্রায় দুই দশকে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এক ধরনের সহিংস সন্ত্রাস ও উগ্রতার বিস্তার লক্ষ করেছি, যেখানে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও রক্ষা পায়নি। অথচ ঐতিহাসিককাল থেকেই বাংলা অঞ্চল বিশেষ করে আজকের বাংলাদেশের ভূখণ্ড শান্তি-সম্প্রীতির জন্য সারা পৃথিবীতেই বিখ্যাত এবং দৃষ্টান্ত স্থাপনের মতো।

বলতে গেলে, নতুনভাবে শুরু হওয়া সহিংস উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় সাম্প্রতিককাল অথবা অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ঘটছে মূলত ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে।

বর্ণগতভাবে, শে^তাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ জাতীয়তাবাদ নিয়ে কিছু ঘটনা ঘটলেও বিশেষ করে ধর্মীয় গোঁড়ামি, ধর্মগ্রন্থগুলো ভুল ব্যাখ্যা, ধর্মীয় সহনশীলতার অভাব প্রবলভাবে ফুটে উঠেছে এসব সহিংস উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে। অথচ সব ধর্মই মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলে এবং মানুষকে মর্যাদা দান করে, আর সহনশীলতা প্রচার করে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইসলামসহ বিশ্বের অন্যান্য ক্ষুদ্র-বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ধর্মগুলোও পারস্পরিক শান্তি, সম্প্রীতি, মানব মর্যাদা, ধর্মীয় সহনশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু এখানে লক্ষ্য করার বিষয় যে, এ সময়ের সন্ত্রাসী উগ্রতার গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিজ ধর্মের লোকদেরও আক্রমণ করা। অর্থাৎ সংঘাতগুলো অনেকটা একই ধর্মের মধ্যে, আবার আন্তঃধর্মীয়ও। নাস্তিক-আস্তিক এবং নামাজি-বেনামাজি এসব বিষয় নিয়েও নানা ধরনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সহিংসতা এবং উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড ঘটেছে নানা সময়ে। ওই সব কর্মকাণ্ড যারা করে তাদের মধ্যে রয়েছে ধর্মান্ধতা, ধর্মীয় কট্টরবাদিতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং ধর্মীয় মিথ্যা দৃষ্টি। সত্যিকার ধর্মচারী, ধর্মবেত্তারা কখনো মানুষকে এবং কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারেন না এবং এতে উৎসাহও প্রদান করতে পারেন না। সুতরাং বাংলাদেশসহ বিশ্বে এমন ভয়াবহ অবস্থায় বহুত্ববাদের প্রচার ও চর্চা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বহুত্ববাদ বলতে বিভিন্ন মত, ধর্ম, সংস্কৃতি, বিশ্বাস, বর্ণ, লিঙ্গ, এমনকি ভিন্ন আদর্শের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকেই বোঝায়। মানুষে মানুষে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাস প্রভৃতি মানবিকগুণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ হাজার বছরের সংস্কৃতিতে এসব গুণ ও বৈশিষ্ট্য বহন করে চলেছে সম্প্রীতির মেলবন্ধনে।

এ উপমহাদেশের সাংস্কৃতিক বলয় তৈরিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, ইসলাম  খ্রিস্টধর্মের দৃশ্যমান প্রভাব লক্ষণীয়। অর্থাৎ ধর্মসমূহ একটা আরেকটা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, বরং নানা কারণে সম্পর্কিত। যেমন বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র বলে এখানকার নানা সংস্কৃতি অন্যান্য সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে। তেমনি বৌদ্ধ বা হিন্দু প্রধান দেশে অন্যান্য জাতি-সম্প্রদায় একইভাবে প্রভাবিত। সুতরাং ধর্মীয় বিধিবিধান ও সংস্কৃতিচর্চায় কিছু কিছু মৌলিক পার্থক্য থাকলেও বৃহত্তর পরিমণ্ডলে আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আধুনিক বিশ্বায়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভরা আকাশ সংস্কৃতির এ যুগে নীতি-নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য। আমরা অতীত ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে আমাদের সেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সমতা, ত্যাগ, ধর্মীয় নীতিবোধ, বিশ্বাস, উদার মানসিকতা এবং সর্বোপরি স্বদেশচিন্তা ও স্বদেশপ্রেম আমাদের জাতীয় উন্নয়ন-সমৃদ্ধি বিকাশে এবং জাতীয় মানস গঠনে অসম্ভব সহায়তা দান করে। একবিংশ শতকের বিশ্ববাসীর ভাবনাও তাই। তাই বৌদ্ধধর্ম কোনো জাতি, সম্প্রদায়, ধর্ম-বর্ণ, দেশ ও ভূখ-ের কৃত্রিম ও ব্যক্তিসুখ কামনা করে না। বৌদ্ধরা সব মানুষের, বিশ্বের সব জীবের অখ- সুখ, অখ- কল্যাণ এবং সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেন। তাই বুদ্ধ বলেন সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্তু, অবেরো হোন্তু, অব্বপজ্জ হোন্তু, অনীঘ হোন্তু  অর্থাৎ বিশে^র সব জীব সুখী হোক, ভয়হীন হোক এবং শত্রুহীন হোক।

অতএব আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সম্প্রীতির এ আবেদন সর্বজনীন একতা ও সঙ্ঘশক্তি তৈরিতে প্রাণপ্রবাহ সৃষ্টি করে। কারণ আমরা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। একই ভূখণ্ডে বসবাসকারী জাতিসত্তাকে আমরা দ্বিখণ্ডিত করতে চাই না। এ দেশ আমাদের। চাকমা, মারমা, রাখাইন, চাক এবং আদিবাসী যারা এখানে বসবাস করে তাদের সবার একটি পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। বাংলাদেশ আমার প্রিয় মাতৃভূমি। তাই আমাদের স্লোগান হবে ‘সুখ সঙ্ঘস্স সাম¹ি সাম¹নং তপো সুখো’।

অর্থাৎ একত্রে বসবাস সুখকর, একত্রে মিলন সুখকর এবং একসঙ্গে তপস্যাজনিত সর্বতো কল্যাণ সুখকর। অতএব, এ সত্যনীতিতে আমরা বাংলাদেশের  সব ধর্মসম্প্রদায় এক এবং অভিন্ন। আমাদের উচিত এ মুহূর্তেই সব প্রকার অশুভ তৎপরতা ও অকল্যাণ পরিত্যাগ করা। এতে ব্যক্তি, পরিবার তথা সমাজের বসবাস নিরাপদ হবে। রাষ্ট্র ও বিশ্ব নিরাপদ থাকবে। আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং মানবসম্পদও সুন্দর ও সুষ্ঠুরূপে রক্ষিত হবে। অতএব চলুন, আমরা আজ সবাই নিজ স্বার্থে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ব্রতী হই। নিয়মশৃঙ্খলা ও সদাচরণে কর্তব্যপরায়ণ হই। জাতীয় সংহতি ও সম্প্রীতির ঐক্যবন্ধনে দেশ গড়ার কাজে আমরা সবাই নিবেদিত হই। সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তুজগতের সব জীব সুখী হোক। বাংলাদেশ সমৃদ্ধময় হোক। বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক।

লেখক : সুপারনিউম্যারারি প্রফেসর

পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সভাপতি, বিশ্ব বৌদ্ধ ফেডারেশন-বাংলাদেশ চ্যাপ্টার

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত