মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বঙ্গদেশের ভূমি মালিকানা ব্যবস্থা রূপান্তরের একটি চিত্র

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পিএম

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ হলো- ‘সোনার বাংলা’। এটা কি নিছক কথার কথা বা একটি মিথ?

ইতিহাসের কোন পর্বে বাংলাদেশের মানুষ প্রাচুর্যের স্বাদ পেয়েছে, যে কারণে বাংলাদেশ পেয়েছে সোনার বাংলা অভিধাটি? শুরুতেই ইউরোপীয়রা বঙ্গদেশে আসতে শুরু করে। তারা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করেছিল, বাঙালিরা অনেক রকমের খাবার খায়। তাদের পরিধেয় বস্ত্রের মধ্যেও রয়েছে বিশাল বৈচিত্র্য।

এছাড়াও অন্যান্য উৎপাদিত পণ্য অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যেত। ১৫২০ সাল থেকে পর্তুগিজরা নদীতীরবর্তী বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। পরবর্তী শতাব্দীতে পর্তুগিজদের অনুসরণ করে ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকেও বণিক ও আগন্তুকরা আসতে শুরু করে।

বিখ্যাত ফরাসি পর্যটক এবং চিকিৎসক ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ের ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গদেশে কয়েকটি এলাকা সফর করেন। বঙ্গদেশের কিছু অঞ্চল দেখার পর বার্নিয়ের মন্তব্য করেছিলেন, abounds with every necessity of life! 

তিনি আরও বলেছেন, সম্পদের দিক থেকে বঙ্গদেশ মিসরেরও ঊর্ধ্বে। বঙ্গদেশ থেকে চাল, চিনি, ফলফলাদি, তুলা, সিল্ক, মসলা, গাছ-গাছড়া-লতাপাতা, ওষুধ এবং মাখন রপ্তানি হতো। এসব পণ্যসামগ্রী করম-ল উপকূল থেকে সিংহল, মালদ্বীপ, পারস্য, আরব দেশ এবং ইউরোপে রপ্তানি হতো। বার্নিয়ের যেসব ক্ষেত্রে বঙ্গদেশে শ্রেষ্ঠত্ব ছিল, সেগুলোর সবকিছুর কথা বলে যাননি। বঙ্গদেশের নারীদের সৌন্দর্য এবং ভদ্র আচরণের কথাও বঙ্গদেশের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে গিয়ে বলতে পারতেন। বঙ্গদেশ সম্পর্কে বার্নিয়েরের বর্ণনা অতিকথন ছিল না। তার আগে এবং পরে যে সব বিদেশি পর্যটকরা বঙ্গদেশে এসেছেন তারাও বার্নিয়েরের মতো বঙ্গদেশের ঐশ্বর্য দেখে বিস্মিত হয়েছেন। আজ থেকে ৬ শতাব্দী আগে মরক্কোর পর্যটক ইবনে বতুতা পারস্য, চীন, সুমাত্রা এবং ‘তিন বাত্তু’ প্রভৃতি দেশ সফর করেন। ইবনে বতুতা বলেছেন ‘This is country great extend, and one in which nice is Extemely abound Indeed, I have seen no region of the earth where provisions one so plantiful.’  

বঙ্গদেশের অর্থনৈতিক প্রাচুর্য সম্পর্কে আরও অনেকের উক্তি আমরা করতে পারি। প্রশ্ন দাঁড়ায়, আজ থেকে ছয় কি সাতশ বছর আগে বঙ্গদেশের এই প্রাচুর্য এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে কীভাবে বণ্টিত হতো? সেই সময় বৈষম্য কিংবা অসাম্যের তীব্রতা কেমন ছিল? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে আমাদের ভূমির মালিকানার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে হবে। সেই সময় ভূমিতে ব্যক্তিগত মালিকানা ছিল না। ভূমির আসল মালিক ছিলেন-দিল্লির বাদশাহ। বাদশাহর লক্ষ্য ছিল, প্রজার কাছ থেকে সর্বাধিক পরিমাণে খাজনা আদায়। এটি নিশ্চিত করা হতো একটা জটিল আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে। ভূমির ওপর বাদশাহর বা সম্রাটের নিরঙ্কুশ মালিকানা ব্যবস্থাকে সমাজতান্ত্রিকরা নাম দিয়েছিলন, ‘The Asiatic Modle of Production’। কার্ল ওইটফগেল যুক্তি দিয়েছেন, যে সব দেশের কৃষি সেচ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল সেসব দেশে বিস্তীর্ণ সেচের খাল খননে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের প্রয়োজন হতো। এ কারণে ভূমির ওপর ব্যক্তিমালিকানার পরিবর্তে সম্রাটের বা রাষ্ট্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত ছিল।

সম্রাট বা বাদশ্াহ প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করতেন, সুবেদারি-মনসবদারি প্রথার মাধ্যমে। এরা সম্রাটকে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনীও পুষত। একজন মনসবদার কতজন সেনা পালন করেন, তার ওপর নির্ভর করত তার পদমর্যাদা। মনসবদারদের ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা আদায়ের বাধ্যবাধকতা ছিল। সম্রাটের দেওয়া খাজনা আদায়ের লক্ষ্য পূরণ করতে না পারলে মনসবদারি হারাতে হতো। মনসবদাররা বংশানুক্রমিকভাবে তাদের ধনসম্পদ ভোগ করতে পারতেন না। তাদের মৃত্যুর পর তাদের সঞ্চিত ধন-সম্পদ রাষ্ট্র কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হতো। এর ফলে মনসবদাররা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। অনেক সময় দেখা গেছে, মনসবদারিতে অধিষ্ঠিত অবস্থায় মনসবদার খাজনার শর্ত পূরণ করতে পারেননি বলে মনসবদারি হারিয়েছেন। বার্নিয়ের ভূমি মালিকানা ব্যবস্থায় এ ধরনের অনিশ্চয়তাকে ভূমির উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

মৌসুমি জলবায়ুর অন্তর্গত বঙ্গদেশে পানি প্রাপ্যতার অভাব ছিল না। এর মধ্যেও কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে ‘রাঢ়’ ও ‘বরেন্দ্র’ এলাকায় পানির প্রাপ্যতা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। সেই সময়েও বঙ্গদেশে খাল খনন করা হতো। বঙ্গদেশে ভূমির ওপর প্রজার মালিকানা না থাকার জন্য এশীয় উৎপাদন ব্যবস্থাকে যৌক্তিকভাবে কারণ হিসেবে দাঁড় করানো যায় না। তবে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিশেষ গঠনের কারণে ভূমির ওপর প্রজার মালিকানা স্থাপিত হতে পারেনি।

তুলনামূলকভাবে ৫/৬ শত বছর আগেও বঙ্গদেশে জনঘনত্ব ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি ছিল। এতদসত্ত্বেও বঙ্গদেশে তখন জনসংখ্যার অনুপাতে ভূমির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। ফলে বঙ্গদেশের অনেক জায়গা অনাবাদি থাকত এবং সেসব জায়গায় বনজঙ্গলে ভরে উঠত। প্রজাদের ওপর মনসবদাররা অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের চাপ দিলে প্রজারা তাদের পুরনো আবাস ছেড়ে ভিন্ন কোনো অনাবাদি এলাকায় গায়েব হয়ে যেত। যার ফলে বাড়তি খাজনা আদায় প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

ঐতিহাসিক গড়ৎবষবহফ এক হিসাবে জানিয়েছেন, বাদশাহ আকবরের সময় ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা ছিল মাত্র ১০ কোটি। কাজেই সহজেই অনুমেয় যে, তৎকালীন ভারতে জনসংখ্যার তুলনায় জমির প্রাপ্যতা ছিল অকল্পনীয়ভাবে বিশাল ও ব্যাপক। শিখ ধর্মগ্রন্থ গুরুগ্রন্থ সাহেবের পদ্যাকারে লেখা হয়েছিল, ‘হে মাহাতু, সময় থাকতে পরকালের কড়ি সংগ্রহ করে নাও।’ আধ্যাত্মিক চৈতন্য প্রযুক্ত এই কাব্যিক শ্লোকটির একটি ইহজাতিক অর্থও দাঁড়ায়। অথবা ইহজাগতিক দৃষ্টান্ত দিয়ে পরলোকের জন্য সংগ্রহ সঞ্চয় করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইহলৌকিক নির্দেশনাটি হলো, প্রজা পালিয়ে যাওয়ার আগেই মাহাতুকে খাজনা সংগ্রহ করতে হবে।

সেই থেকে আজকের দিন পর্যন্ত আমাদের সমাজে বহুমাত্রিক পরিবর্তন এসেছে। এসব পরিবর্তনের মধ্যে আমাদের এই অঞ্চলে ভূমির ওপর ব্যক্তির মালিকানা প্রতিষ্ঠা অতিআবশ্যিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত হবে।

ব্রিটিশ শাসকরা ১৭৯৩ সালে বঙ্গদেশ অঞ্চলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করে। এর একটি প্রত্যক্ষ ফলাফল হলো, জমিতে ঐতিহ্যগতভাবে জমিদারির অধিকারী মুসলিম জমিদাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জমিদারি হারালেন। নতুন ধনাঢ্য শ্রেণির ব্যক্তিরা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অধীনে জমিদারি ক্রয় করতে সমর্থ্য হলেন, কিন্তু নতুন ধরনের সমস্যা দেখা দিল। একজন জমিদারের অধীনে অনেক প্রজা থাকায় জমিদারের পক্ষে সবার কাছ থেকে খাজনা আদায় অসম্ভব হয়ে পড়ল। জমিদার খাজনা আদায় নিশ্চিতে তার অধীনে বিভিন্ন ধাপে আরও অনেক খাজনা আদায়কারী নিয়োগ করলেন। এরা তালুকদার বা পত্তনিদার হিসেবে অভিহিত হলেন। এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাকেরগঞ্জ জেলার ৩৬ স্তরের পত্তনিদার ছিলেন। এরা দ্বার-পত্তনিদার, সে-পত্তনিদার প্রভৃতি নামে পরিচিতি পেলেন। সহজেই অনুমেয় ৩৬ স্তরের খাজনা আদায়কারীর দাবি পূরণ করতে প্রজাকে কী দৈন্যদশায় পড়তে হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় এই ব্যবস্থার নাম Sub-Infeudation শুধু ৩৬ জন পত্তনিদার নয়, এর চেয়েও বেশিসংখ্যক খাজনা আদায়কারী ছিলেন জমিদার ও প্রজার মধ্যে। ফলে খাজনার দাবি মেটাতে গিয়ে প্রজারা রক্তশূন্য হয়ে পড়েছিল। এছাড়াও ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছোবল। ১ বছর ফসল ভালো হলে অন্য বছর ফসল হতো না বললেই চলে।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের তাত্ত্বিক প্রবক্তা ছিলেন স্যার আলেকজান্ডার জর্জ ও স্যার ফিলিপ ফ্রান্সিস প্রমুখ। এরা ফ্রান্সের ফিজিওক্রেটিক অর্থনীতিবিদদের অনুসারী। প্রয়াত অধ্যাপক রণজিৎ গুহ তার পিএইচডি থিসিসে বঙ্গদেশে ইংরেজ প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের স্বরূপ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তার এই থিসিসটি ওরিয়েন্ট লংম্যান  A Rule of property For Bangal নামে গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ করেছে। ইংরেজ শাসকরা আশা করেছিলেন, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে জমিদাররা হবেন Jentleman Farmer। এরা কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। কিন্তু বাস্তবে তা বিন্দুমাত্র বাস্তবায়িত হয়নি। কৃষক প্রজারা সর্বস্বান্ত হয়েছে। বঙ্গদেশে শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের রাজনীতি কৃষক প্রজাদের নিয়ে আবর্তিত হয়েছে।

১৯৩০ সালে বিশ্বব্যাপী মহানন্দার প্রভাবে বাংলার কৃষক প্রজার অবস্থা চরম দুর্গতির মধ্যে পড়ে। এমন বঙ্গদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল ছিল ‘সোনালি আঁশ’। মহামন্দার ফলে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা শূন্যের কোঠায় পৌঁছায়। প্রজারা পাট বিক্রি করে মহাজনের ঋণ শোধ করতে পারছিল না। অন্যদিকে মহাজনদের মহাজনী ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম হলো। খাতক ও মহাজন উভয় শ্রেণি বিপন্ন হয়ে পড়ল। এ অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করেন। এ বোডের্র দায়িত্ব ছিল, সালিশির মাধ্যমে খাতক ও প্রজার কাছে গ্রহণযোগ্য হারে সুদের হার কমিয়ে আনা। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রণোদনা না হয়ে জমিদারি ব্যবস্থা সম্পর্কে ১৯৪০ সালে গঠিত ‘Bengal land Revenue Commission’ মন্তব্য করেছে, An Iron Frame work which as had the effect of stifling the enterprise & Initiative of all the classes concerned’ কৃষকের যখন এমন দুরবস্থা তখন বঙ্গদেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় অনেক স্বল্প পরিমাণে অর্থ ব্যয় করেছে। এত অবহেলা, বাধা-বিপত্তি এবং শোষণ সত্ত্বেও ১৯৩০ সাল পর্যন্ত বঙ্গদেশ চালের নিট রপ্তানিকারক ছিল। অচিরেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে            কৃষির স্থবিরতার মুখে অন্যত্র থেকে চাল আমদানি করতে হয়। ১৯২১ সাল পরবর্তী ৬০ বছরে জনসংখ্যা ৩ গুণ বৃদ্ধি পায়। এটা ১৯৮০ সালের অবস্থা। বঙ্গদেশে তখন পর্যন্ত মারাত্মক দারিদ্র বিদ্যমান ছিল। এই দারিদ্র্যের জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে দায়ী করা সঠিক হবে না। সম্প্রতি বিবিএস বাংলাদেশের দারিদ্র্যের ওপর একটি মানচিত্র প্রণয়ন করেছে। এই মানচিত্র অনুযায়ী দেখা যায়, বাংলাদেশের বেশ কটি জেলা প্রবল দারিদ্র্যে আক্রান্ত। সর্বাধিক দারিদ্র্য মাদারীপুর জেলায়, যা ৫৩ শতাংশ।

বঙ্গদেশের প্রজাদের সর্বস্বান্ত অবস্থা থেকে রক্ষাকল্পে মুসলিম লীগ পাকিস্তান দাবির সঙ্গে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদেরও দাবি তোলে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে ‘‘East Bengal state Acuisition and Tenancy Act’ (EBSATA) পাস করা হয়। এর ফলে জমিদারি উচ্ছেদ হলো। ভূমির বন্দোবস্ত ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদেরও উচ্ছেদ করা হলো। প্রজারা জমির ওপর ন্যূনতম খাজনা পরিশোধ সাপেক্ষে ভূমির মালিকানা পেল। তবে এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একশ্রেণির বড়জাতের মালিক সৃষ্টি হলেন। এরা ‘জোতদার’ নামে পরিচিতি পেলেন। ফলে ভূমি সংস্কার আইন যতটা উপকারী হবে আশা করা হয়েছিল, ততটি উপকারী হয়নি। প্রয়াত গবেষক আবু আব্দুল্লাহ তার গবেষণায় জোতদার শ্রেণির উদ্ভবের প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করেছেন। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জমিদারি উচ্ছেদ আইন ছিল কৃষক প্রজাদের মুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ সোপান। এরপর বাংলাদেশের কৃষি কাঠামোতে অনেক পরিবর্তন-বিবর্তন হয়েছে। সেসব পরিবর্তন এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। পরবর্তী সময়ে তা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা রাখি।

লেখক : অর্থনীতিবিদ ও গবেষক

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত