নারীদের জন্য হাদিস পাঠের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কাতারের আল মুজাদালা সেন্টার অ্যান্ড মস্ক ফর উইমেন। এই আয়োজনে হাদিসের নানা দিকের ওপর আলোকপাত করা হবে। আল মুজাদালা সেন্টার কাতার ফাউন্ডেশনের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
আল মুজাদালা সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড. সোহায়রা সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ‘দৈনন্দিন জীবনে হাদিস থেকে আমরা মুসলিমরা মহান অন্তর্দৃষ্টি, অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা লাভ করি।’
আল মুজাদালায় হাদিসের পাঠদানের মাধ্যমে ঐশী নির্দেশনার নানা দিক উন্মোচিত হয়। যেমন ইবাদত-বন্দেগি, বিচার ব্যবস্থা ও নৈতিকতা বিষয়ে ইসলামের প্রাথমিক যুগের নারীদের অংশগ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, ‘হাদিসের কিতাবে এমন বহু ঘটনা পাওয়া যায় যেখানে মুসলিম নারীদের নবী কারিম (সা.)-এর সঙ্গে সংলাপে লিপ্ত হতে দেখা যায়। তারা নবী কারিম (সা.)-এর সামনে এমন বহু বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, যা মুসলিম সমাজের উন্নয়নে অণুঘটক ছিল।’ কর্মশালার মুখ্য আলোচক হামাদ বিন খালিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুতাজ আল খাতিব। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক নবী কারিম (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত হওয়া। যেন তারা তাকে চির অনুসরণীয় আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করতে পারে। জীবনের বাস্তবতা হলো, নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা নারী ও পুরুষ উভয়কে সমানভাবে অনুপ্রাণিত করে। এমন কর্মশালা মুসলিম নারীদের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।’
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতিটি কথা ও কাজ ওহির অন্তর্ভুক্ত। তাই নবুওয়তের ২৩ বছরে তিনি যা কিছু বলেছেন, করেছেন এবং সমর্থন দিয়েছেন, সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। মনগড়া কোনো কিছুই তিনি করেননি বা বলেননি। সুতরাং হাদিস বা সুন্নাহ মানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জরুরি।
