বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

কোলোরেক্টাল ক্যানসারে সচেতনতা প্রয়োজন

আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ১২:৩২ এএম

অনেকের মলের সঙ্গে রক্ত যায়। শুরুতে অনেকে সেভাবে খেয়াল করেন না। পরবর্তী সময়ে যখন ডাক্তারের কাছে আসেন তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ধরা পড়ল মলদ্বারে ক্যানসার। আক্রান্ত অংশসহ সম্পূর্ণ মলদ্বার কেটে ফেলা হয়। পরে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। ধারাবাহিক চিকিৎসা নিয়ে ক্যানসারমুক্ত সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। মলদ্বার পুরোটা কেটে ফেলা হলেও তার শরীরের বাইরে মল সংগ্রহের জন্য কোলোস্টমি ব্যাগ ব্যবহার করতে হয় না। শারীরিক পরিশ্রম করতেও তার কোনো সমস্যা হয় না। কোলোরেক্টাল ক্যানসারে সাধারণত বৃহদন্ত্র ও মলদ্বার আক্রান্ত হয়। শুরুতে এ ক্যানসার আঙুরাকৃতির পলিপ হিসেবে দেখা দেয়। নিয়মিত স্ক্রিনিং টেস্টের মাধ্যমে পলিপ খুঁজে পাওয় যায়, যা ক্যানসার হওয়ার আগেই অপসারণ করা সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে প্রতিবছর ৭ লাখ মানুষ কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

লক্ষণ : মলের সঙ্গে রক্ত পড়া; তলপেট বা মলদ্বারে ব্যথা; মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন, যেমন কিছু দিন কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, ক্ষুধামান্দ্য, রক্তশূন্যতা, ওজন কমে যাওয়া ও দুর্বল লাগা।

প্রতিরোধ : খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অর্থাৎ বেশি আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ; লাল মাংস (গরু বা খাসি) কম খাওয়া; ওজন নিয়ন্ত্রণ করা; তাজা ফলমূল, শাকসবজি নিয়মিত খাওয়া।

চিকিৎসা : এখন আমাদের দেশেও এ রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। ক্যানসারের আকার, অবস্থান ও বিস্তারের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে থাকেন। অন্য ক্যানসারের মতো কোলোরেক্টাল ক্যানসারের একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন হয়।

সার্জারি : কোলোরেক্টাল ক্যানসারের প্রধান চিকিৎসা সার্জারি, যা সাধারণত রেডিওথেরাপির পর করলে ভালো হয়। কেমোথেরাপি সার্জারি পরবর্তী ধাপ, যা পুনরায় ক্যানসার হওয়া রোধ করে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব হলে মলদ্বার

যথাস্থানে রেখে ক্যানসার নিরাময় সম্ভব। তাই চল্লিশোর্ধ্ব থেকেই বছরে একবার মল পরীক্ষা করলে কোলোরেক্টাল ক্যানসার নির্ণয় ও প্রতিরোধ সম্ভব হয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত