বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সেই ৭৮ জনের মধ্যে তিনজন ভারতীয়

আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ০৭:১৬ এএম

ভারত কর্তৃক ঠেলে দেওয়া ‘পুশ ইন’ ৭৮ ব্যক্তিকে খাদ্য ও চিকিৎসা দিয়ে শ্যামনগর থানায় অর্পণ করেছে কোস্টগার্ড। যথাযথ খোঁজখবর নিয়ে প্রত্যেককে আইন অনুযায়ী স্বজনদের কাছে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এর মধ্যে তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা স্বীকার করেছে তারা জন্মগ্রহণ সূত্রে ভারতের নাগরিক। তাদের পিতামাতাও ভারতীয়। এই তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রদান করা হয়েছে।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, ৯ মে শুক্রবার ভারতের পুশ ইনকৃত ব্যক্তিদের সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভূসীমার সীমান্ত সুন্দরবনাঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর সমুদ্রসৈকত থেকে উদ্ধারকৃত নানা বয়সী অসুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষদের খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা দেয় সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ, শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও কোস্ট গার্ড।

রবিবার বিকেলে তাদের মান্দারবাড়িয়া থেকে প্রথমে কোস্টগার্ড মংলা ক্যাম্পে নিয়ে যায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা। সেখান থেকে সন্ধ্যায় রওনা দিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা পুলিশে দিলেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রনি খাতুন। রাত বারোটায় উপজেলা প্রশাসন ও শ্যামনগর থানা পুলিশ ৭৮ জনকে গ্রহণ করে। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন সোমবারও ৭৮ জনকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেন এবং ওষুধ,  নৈশকালীন ও সকালের খাবার নিশ্চিত করেন।

এদিকে কোস্টগার্ডের প্রাথমিক শনাক্তে তিন জনকে ভারতীয় হিসেবে নিশ্চিত করা গেছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি খাতুন। যাচাই বাছাই করতে করতে এবং কাগজপত্রাদি নিশ্চিত করতে সোমবার ভোর হয়ে যায় বলে তিনি জানান।

শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির আরও জানান, উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৭৫ জন নিজেদের বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করেছেন। এর মধ্যে মোহাম্মদ হারুন নামে এক ব্যক্তি তিনি ভারতের গুজরাটের সুরাটে আছেন ৩৭ বছর ধরে। মোহাম্মদ হারুন (৫৮) নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মাধবপাশা গ্রামের রফিক শেখের ছেলে। হারুনের ভাষ্যমতে ১৭ বছর বয়সে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন।

এ ছাড়া খুব কাছাকাছি সময়ে কম দিন গিয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা চকপাড়া গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে আবু হেলাল। আবু হেলাল ২০ দিন ধরে ভারতের আহমেদাবাদে অবস্থান করছিলেন।

এছাড়া অন্যদের পরিচয় হলো নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লার ছেলে শরিফুল মোল্লা (২৭)। পাঁচ বছর ধরে তিনি ভারতের আহমেদাবাদে অবস্থান করছিলেন। গাজীরহাট গ্রামের সিরাজ শেখের ছেলে আবু বকর (২২) ষোলো বছর ধরে একই স্থানে অবস্থান করছিলেন। বাবুপুর গ্রামের মৃত মান্দার শেখের ছেলে শেখ শওকত (৪৫) চৌত্রিশ বছর ধরে একই স্থানে অবস্থান করছিলেন।

যশোর জেলার অভয়নগর থানার পাঁচ খবর এলাকার ইউসুফ শেখের ছেলে লিয়াকাত শেখ (২৭) বছর খানেক ধরে ছিলেন ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরে। আহমেদাবাদে সাত বছর ধরে অবস্থান করছিলেন নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মাধবপাশা গ্রামের হায়দার মোল্লার ছেলে বরকত মোল্লা তার বর্তমান বয়স ৪০। একই এলাকায় অবস্থান করছিলেন এক যুগ ধরে বিল বেস গ্রামের আলী মুর্তজা শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান শেখ (৫৫)। একই এলাকায় দেড় মাস ধরে অবস্থান করছিলেন ঢাকা জেলার পারগে-ারিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ সজীব (২০)।

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা চান্দিরচাক গ্রামের সিফাতুল্লাহর ছেলে তারামিন শেখ। শুক্তগ্রয়া গ্রামের আকবর শিকদারের ছেলে সোহেল সিকদার। বিলবজ গ্রামের সাহেব শেখের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৮) ভারতে অবস্থান করছিলেন ৬ বছর ধরে। জয়পুর গ্রামের দুলাল ফরাজের ছেলে মো. সেকান্দার (৪০) ছিলেন ২ বছর ধরে। কুলাজোপুর গ্রামের সামির উদ্দিনের ছেলে মো. রমজান আলী (৩৪) একই এলাকায় ছিলেন তিন বছর ধরে। সুরাট এলাকায় সাত মাস ধরে ছিলেন মির্জাপুর গ্রামের আলম শেখের ছেলে অনিক শেখ (৩০)।

১৯ বছর ধরে আহমেদাবাদ এলাকায় ছিলেন বিষ্ণুপুর গ্রামের রব শেখের ছেলে সোহেল শেখ (৩০)। লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা এলাকার মৃত রতন শেখের ছেলে মো. পলাশ ৩০ আহমেদাবাদ এলাকায় ছিলেন চার মাস ধরে। ২২ বছর ধরে আছেন বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত খোষাল শেখের ছেলে রউফ শেখ (৭৬)। একই গ্রামের সোহেল শেখের ছেলে সাইফুল(১৯) ভারতের একই এলাকায় ছিলেন ১০ মাস ধরে। চানপুর গ্রামের খালির মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা (৪৮) ছিলেন পাঁচ মাস ধরে। জয়পুর গ্রামের নবীর মৃধার ছেলে আফজাল মৃধা (৩৫) ও আফজাল মৃধা ছেলে রাহাত মৃধা (১৭) এ দুজন ছিলেন দুবছর ধরে। একই এলাকায় ছিলেন খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার লস্করপুর গ্রামের দাউদ মল্লিকের ছেলে নাসির মল্লিক (২৭), বটিয়াঘাটা উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে শেখ মহিদুল (২৫) ও তেরখাদা উপজেলার মোকামপুর গ্রামের মৃত গঞ্জর মোল্লার ছেলে শাখায়েত মোল্লা (৪০) এই তিন জন ছিলেন চার বছর, ২৪ বছর ও তিন বছর ধরে।

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলের শিফাত (৩৫), নড়াইল সদর উপজেলার কাঠাদৌড়া গ্রামের মকবুল শেখের ছেলে রহমান শেখ (২৬) ও লোহাগাড়া উপজেলার কাটাখোর গ্রামের হাবি শেখের ছেলে ইকু শেখ (২২) পর্যায়ক্রমে এক যুগ, দুই বছর ও নয় বছর ধরে আহমেদাবাদ এলাকায় ছিলেন। ৩০ বছর ধরে সুরাট এলাকায় ছিলেন নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত সরদারের ছেলে মিজানুর সরদার (৪৭)।

মানু শেখ (৫৫) নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানাধীন দক্ষিণ যোগানিয়া গ্রামের সৌরভের ছেলে তিনি। আহমেদাবাদ এলাকায় ছিলেন পাঁচ বছর ধরে। কালিয়া গ্রামের মৃত সালমান শেখের ছেলে শেখ কুদ্দুস শিকদার (৬৬) ছিলেন ত্রিশ বছর ধরে। নয় বছর ধরে লোহাগাড়া উপজেলা কুঠাখেল গ্রামের হাবিবুর শেখের ছেলে সোহাগ শেখ (১৯) ছিলেন। কালিয়া উপজেলার মাধবপাশা গ্রামের ইরান মোল্লার ছেলে শরিফুল মোল্লা (২৪) ছিলেন পাঁচ বছর ধরে। ২৫ বছর ধরে বিশ্বপুর গ্রামের রাজ্জাক দারোগার ছেলে রবিউল দারোগা (৩০) ছিলেন। বিল বাওচ গ্রামের হাবিবুর শেখের ছেলে আবুল হাসান (২৩) ছিলেন দশ বছর ধরে। খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার দায়ধৈ গ্রামের মৃত সাত্তার শেখের ছেলে রফিক শেখ (২৮) ছিলেন পাঁচ বছর ধরে। ৮ মাস ধরে নড়াইল জেলার নড়াগতি থানাধীন গাছবাড়িয়া গ্রামের নবাব শেখের ছেলে মনির শেখ (৬৫) ছিলেন। এক যুগ ধরে ছিলেন কালিয়া উপজেলার কুঞ্জপুর গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে খলিল শেখ (৬৫)। কুলসুর গ্রামের তৈবুর শেখের ছেলে মিলন শেখ (২৫) ছিলেন পাঁচ বছর ধরে। ৩০ বছর ধরে ছিলেন পেরলি গ্রামের ইউসুফ শেখের ছেলে আলমগীর (৩০)। ভে-ারচর গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে ছাব্বির শেখ (১৯) ছিলেন পাঁচ বছর ধরে। নড়াগাতি থানাধীন হালযোগিনী গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে টিপু মোল্লা (২৪) ছিলেন দুই বছর ধরে। খুলনা জেলার ১৩ খাদা উপজেলার কিলফানগর গ্রামের মজনু মোল্লার ছেলে বাদশা মোল্লøা (২১) ছিলেন চার মাস ধরে। চার মাস ধরে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার কানারগাঁও গ্রামের কামাল বারীর ছেলে আল আমিন বারী ছিলেন (২৫)।

মাধবপাশা গ্রামের বরকত মোল্লার ছেলে জাহিদুল মোল্লা (২০) আছেন সাত বছর ধরে। ভুলভাল গ্রামের নজির মোল্লার ছেলের শিমুল মোল্লা আছেন (২৭) ৪ বছর ধরে। দুই বছর ধরে আছেন চরকাঠাদুরা গ্রামের মশিয়ার শেখের ছেলে মোস্তাইন শেখ (২৩)। মাধবপাশা গ্রামের ইরান মোল্লা ছেলে ইসানুর মোল¬া (২০) ছিলেন দুই বছর ধরে। পাঁচ বছর ধরে ছিলেন বাত্তবুর গ্রামের মুছা শেখের ছেলে মুসা শেখ (২০)। বাবুপুর গ্রামের ভবিষ্যতের ছেলে সাজিদ শেখ (১৮) ছিলেন ৬ মাস ধরে। দশ বছর ধরে ছিলেন ফুলদা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে শাহিন (৪০)।

সুরাটে ছিলেন ২০ বছর ধরে বিষ্ণুপুর গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে জাকির (২৭)।

 তিন বছর ধরে আহমেদাবাদ এলাকায় ছিলেন বাবুপুর গ্রামের কালাম শেখের ছেলে সবুজ (১৯)। চাতুরী গ্রামের তালেব শেখের ছেলে ফুরাদ শেখ (৩৫) ছিলেন সাত বছর ধরে।

পাঁচ বছর ধরে ছিলেন বিষ্ণুপুর গ্রামের খালিদ শেখের ছেলে আব্দুর রহমান শেখ (২০)।

সুরাটে ছিলেন আট বছর বিষ্ণুপুর গ্রামের মুন্না শাহের ছেলে হাসান (২৪)।

আহমেদাবাদে এক মাস ধরে ছিলেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার পূর্ব বড়কোটা গ্রামের দুলাল মোল্লার ছেলে রুমান মোল্লা (৩২)। নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মাধবপাশা গ্রামের হাফিজুলের ছেলে ওসমান (৩০) ছিলেন চার বছর ধরে। দক্ষিণ যৌবন গ্রামের মিঠু মল্লিকের ছেলে সজিব (২২) ছিলেন দুবছর ধরে। দুই মাস ছিলেন রামপুর গ্রামের নুর মিয়া ছেলে সম্রাট শেখ (৩২) ।

৫৪ বছর বয়সী মো. হারুন সুরাটে ছিলেন ৩৭ বছর ধরে তিনি মাধবপাশা গ্রামের রফিক শেখের ছেলে। তিনিই সর্বোচ্চ সময় ধরে ভারতে বসবাসের দাবিদার।

দুই বছর ধরে আহমেদাবাদের ছিলেন বাবুপুর গ্রামের তক্কেল শেখের ছেলে আক্তার (৩০)। বিষ্ণুপুর গ্রামের নুরুদ্দিন শেখের ছেলে মোহাম্মদ জাহিদুল (৪৬) ছিলেন সাত বছর ধরে। আট বছর ধরে ছিলেন বাবুপুর গ্রামের আক্কেল শেখের ছেলে জাহিদ শেখ (৪০)। পাঁচ বছর ধরে বড়নাল গ্রামের মোমরেজের ছেলে মো. ইরাব।

সুরাটে চার বছর ধরে ছিলেন মাধবপাশা গ্রামের এলামিয়ার ছেলে হাফিজুর(৫০)। আহমেদাবাদে ৭ বছর ধরে ছিলেন ভেন্দাচর গ্রামের ফজর মোল্লার ছেলে আবুল খায়ের মোল্লা (২৬)।

এক যুগ ধরে ছিলেন খুলনার দৌলতপুর উপজেলার মহেশ্বরপাশা গ্রামের আমজেদ বেপারীর ছেলে মোহাম্মদ ইমরান (৫৬)।

দুই মাস ছিলেন নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা চাঁদপুর গ্রামের মৃত হবি শেখের ছেলে বাদশা শেখ (২৭)। তিন বছর ধরে ছিলেন বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত মিন্টু সরদারের ছেলে শামীর সরদার (২৪)। কাঠাদোড়া গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে করিম শেখ (২২) ছিলেন পাঁচ বছর ধরে। তার ভাই করিম শেখ (২৭) ছিলেন একই সময়ের মেয়াদে ছিলেন।

মির্জাপুর গ্রামের মুন্না মোল্লার ছেলে ওসমান (২৭) ছিলেন ৬ মাস ধরে। মাধবপাশা গ্রামের মৃত মঞ্জিল শেখের ছেলে লিটন (৪০) ছিলেন চার বছর ধরে। বিষ্ণুপুর গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে শরিফুল (২৬) ছিলেন দশ বছর ধরে। এ ছাড়া যশোরের ইসমাইল কলোনা গ্রামের জীবনের ছেলে আমানত (২৭) ছিলেন সাত বছর ধরে।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় একটি চরের মধ্যে ফেলে যাওয়া ৭৮ জনকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। রবিবার রাত ১২টার দিকে তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন ভারতীয়কে শ্যামনগর থানায় রাখা হয়েছে।

রাতেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। তাদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল, খুলনা, ঢাকা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার।

পুশ ইন করা একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা সকলেই ভারতের গুজরাটের সুরাট বস্তিতে থাকতেন এবং ছোটখাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২৬ এপ্রিল তাদের বস্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ওইদিন রাতেই তাদের আটক করা হয়। সেখান থেকে তাদের হাত ও চোখ বেঁধে নেওয়া হয় পুলিশ ক্যাম্পে। সেখানে চার দিন রাখার পর বিমানে করে আনা হয় কলকাতায়। কলকাতা থেকে তাদের জাহাজে করে এনে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় নিয়ে চোখ বেঁধে একটি চরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তারা হেঁটে বন বিভাগের মান্দারবাড়িয়া ফরেস্ট ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত