বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলায় রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন ও শাহাদাত উল্লাহ জুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত অন্য ৯ আসামি ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিদের সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
জজ আদালতে আটজনকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আবেদন খারিজ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দায়রা জজ রুহুল আমিন এ হত্যা মামলার রায়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
জজ আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জীবিত আসামিদের সবার সাজা হাইকোর্টে কমেছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মুফতি হান্নানের সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল ফাঁসি হয়।
এছাড়া মো. তাজউদ্দিকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমাসের সাজা মৃত্যুদণ্ড থেকে কমে হয়েছে দশ বছরের কারাদণ্ড।
জজ আদালতে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হওয়া ছয় আসামির মধ্যে কেবল শাহাদাতউল্লাহ জুয়েলের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া হান্নান সাব্বির, শেখ ফরিদ, আব্দুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহেরকে সাজা কমিয়ে দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।