সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ড্রেজার মেশিনে বালু তোলার হিড়িক

আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, ০৫:৪০ এএম

বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের নিলগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মালেক মৃধা হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামে অবৈধ বোমা মেশিন (ড্রেজার) দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট, বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। এ আইনকে অবজ্ঞা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন প্রভাবশালীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবৈধ ড্রেজার মেশিন মালিকরা জানান, নিচু জমি ভরাট, বাসা-বাড়ি ও নির্মাণকাজসহ বিভিন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য স্বল্প খরচে বালু উত্তোলন করে তা তারা বিক্রি করেন। বালুর দাম নির্ভর করে দূরত্বের ওপর।

পরিবেশবিষয়ক আইনি সংস্থা ‘বেলা’ একটি সূত্র জানায়, অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। বালু উত্তোলন করতে হলে সরকার স্বীকৃত নির্ধারিত বালু মহাল থেকে তা উত্তোলন করতে হয়। পুকুর, ডোবা-নালা বা গ্রামের বদ্ধ খাল থেকে বালু উত্তোলনের সময় সেখানে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়, তার কারণে আশপাশের ভূমি বা ভূমিতে অবস্থিত বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি ও গাছপালা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে। অথচ আমতলী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মালেক মৃধা বাড়ির মাদ্রাসার মাঠ ভরাট করতে খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। একইভাবে উপজেলার ডালাচারা গ্রামে অবৈধভাবে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।

স্থানীয়রা জানান, অবৈধ বোমা মেশিনগুলোর মালিকরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে গ্রামের পরিত্যক্ত খাল, ডোবা ও পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করছে।

এ বিষয় আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান খান বলেন, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে যদি কেউ বালু উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত