মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

চীনা অস্ত্রের উত্থানে পশ্চিমা ভাবনা

আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ০১:৪১ এএম

প্রযুক্তির হাতিয়ার এখন রাজনীতির গরম মাঠের অস্ত্র। পাকিস্তানের দাবি চীনা জে-১০সি যুদ্ধবিমান ভারতের রাফাল ভূপাতিত করেছে। প্রমাণ না মিললেও বাজার নড়েচড়ে বসেছে। এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের শেয়ার দাম এক সপ্তাহে ৫৫ বিলিয়ন ইউয়ান লাফিয়েছে। স্টক মার্কেট গ্রাফে ঊর্ধ্বমুখী রেখা যেন চীনা অস্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার নতুন প্রতীক। পশ্চিমা অস্ত্রের দীর্ঘ আধিপত্যে প্রথম ফাটল দেখা গেল। উন্নয়নশীল দেশগুলো চীনের দিকে তাকাচ্ছে আশার চোখে। সস্তা দাম, সহজ শর্ত এখন কৌশলগত সঙ্গী বাছাইয়ের মূল মাপকাঠি। গ্লোবাল টাইমসের সাবেক সম্পাদক হু শিজিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন ‘তাইওয়ানকে ভয় পেতে হবে।’ বেইজিংয়ের সামরিক হুমকি তাইপেইয়ের নিরাপত্তা কক্ষে দৃশ্যত বাড়িয়ে দিয়েছে চাপ। তাইওয়ানের গবেষক শু শিয়াও-হুয়াং মনে করেন “পিএল’র ক্ষমতা পুনর্মূল্যায়ন জরুরি।” মার্কিন এফ-১৬-এর সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে চীনা প্রযুক্তি। ওয়াশিংটনের কাছে তাইওয়ানের আবেদন হলো, তারা আরও উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চাপ ও চীনের অর্থনৈতিক প্রভাবের মধ্যে দোদুল্যমান বহু রাষ্ট্র। শি জিনপিংয়ের আধুনিক সেনাবাহিনীর স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি। রকেট ফোর্সের কেলেঙ্কারি যুদ্ধপ্রস্তুতিতে ফেলেছে ছায়া। জে-১০সি’র কথিত সাফল্য হয়তো কিছুটা ঘা মুছতে সাহায্য করবে। কিন্তু তাইওয়ান প্রণালির টহলে এই বিমান কতটা কার্যকর? প্রশ্ন শুধু প্রযুক্তির নয়, কূটনৈতিক চালেরও। পিএল-১৫ মিসাইলের গতি এখন আলোচনার কেন্দ্র। বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলোর চোখ এখন চীনের দিকে। সিঙ্গাপুরের রাজারত্নাম স্কুলের জেমস চার বলছেন, ‘চীনা অস্ত্রের আকর্ষণ বাড়বে বৈশ্বিক দক্ষিণে।’ ২০০০-২০০৪ সালের তুলনায় চীনের অস্ত্র রপ্তানি তিনগুণ বেড়েছে। স্টকহোম ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ এখন চীন। তবে গ্রাহকদের ৭০ শতাংশই পাকিস্তান, মিয়ানমারের মতো সীমিত বাজেটের দেশ। মার্কিন কালো তালিকাভুক্ত নরিনকো, এভিয়েশন করপোরেশন এখনো উৎপাদনে ব্যস্ত। তাদের সাঁজোয়া যান, ফ্রিগেট বিক্রি হচ্ছে এশিয়া-আফ্রিকায়। কিন্তু গুণগত মান এখনো বিতর্কের বিষয়।  

২০২৭ সালের লক্ষ্য পিএলএ’কে আধুনিক বাহিনীতে রূপান্তর। সামরিক-বেসামরিক খাতের সমন্বয়ে গতিশীল এই উদ্যোগ। ২০২৪ সালে চালু হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অ্যাম্ফিবিয়াস অ্যাসল্ট শিপ। ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের টেস্ট ফ্লাইটের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রতিরক্ষা শিল্পের শেয়ার বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। ব্লুমবার্গের এরিক ঝু লিখেছেন ‘চীনা প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়হীনতা বড় বাধা।’ পশ্চিমা অস্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় যুদ্ধক্ষেত্রে জটিলতা বাড়ে। থাইল্যান্ড, নাইজেরিয়ার মতো ক্রেতারা এই সমস্যায় বারবার পড়েছে। চীনা ট্যাংক ভিন্ন স্পেয়ার পার্টসের অভাবে অচল হয়ে যায় মধ্যমাঠে। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নীরব। জে-১০সি’র পারফরম্যান্স বা পিএল-১৫’র সাফল্য নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। সরকারি বক্তব্য হলো ‘আমরা শান্তিরক্ষক।’ কিন্তু দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিকায়ন বা হংকংয়ে সেনা মোতায়েন এই দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে। বেইজিংয়ের তাইওয়ান নীতি দ্বিমুখী। একদিকে শান্তিপূর্ণ একীভবনের কথা, অন্যদিকে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি। পিএলএ’র সাম্প্রতিক মহড়াগুলো তাইপেইকে আতঙ্কিত করেছে। মার্কিন সপ্তম নৌবহর এখন নিয়মিত তাইওয়ান প্রণালিতে টহল দিচ্ছে। অস্ত্র রপ্তানি এখন চীনের কূটনৈতিক হাতিয়ার। পাকিস্তান, সৌদি আরব, আর্জেন্টিনার সঙ্গে চুক্তি বাড়ছে। প্রতিটি অস্ত্র চুক্তি অর্থনৈতিক সহযোগিতার দরজা খুলে দেয়। আফ্রিকায় রেলওয়ে নির্মাণের বিনিময়ে অস্ত্র বিক্রি এ রকম প্যাটার্ন এখন স্বাভাবিক। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চীনা কোম্পানিগুলোকে থামাতে পারেনি। নরিনকো’র ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী সিস্টেম বিক্রি চলছে মধ্যপ্রাচ্যে। এভিয়েশন করপোরেশনের ড্রোনস এখন লিবিয়া ও ইয়েমেনের যুদ্ধে ব্যবহৃত। আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে এই বাণিজ্য বিস্তৃত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সংঘাত চীনা অস্ত্রের জন্য লাইভ টেস্টিং গ্রাউন্ড। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পিএল-১৫’র ব্যবহার বাস্তব যুদ্ধে এর কার্যকারিতা প্রমাণ করছে। প্রতিটি সফল মিসাইল লঞ্চ চীনের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াচ্ছে। এমনকি দক্ষিণ এশিয়া থেকে লাতিন আমেরিকা পর্যন্ত চীনা অস্ত্র বিপণনের নতুন দিগন্ত খুলছে। 

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি রাজনৈতিক সমর্থনও জরুরি। চীন, রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে। যৌথ মহড়া, প্রযুক্তি বিনিময়ের জোট পশ্চিমা শিবিরকে চ্যালেঞ্জ করছে। ব্রিকস জোট এখন নিরাপত্তা আলোচনায়ও সক্রিয়। বাংলাদেশের অভিযোগ চীনা প্রতিরক্ষা শিল্পের দুর্বল দিক উন্মোচন করেছে। নৌযানের ইঞ্জিন ত্রুটি, রাডার বিকল এসব সমস্যা ক্রেতাদের আস্থা কমায়। চীন এখন ওয়ারেন্টি পিরিয়ড বাড়ানোসহ পরিষেবা উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় টেকনিশিয়ানদের দক্ষতা এখনো পিছিয়ে। ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে দেখিয়েছে প্রতিরক্ষা শিল্পের স্বয়ংসম্পূর্ণতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। চীন এই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে স্থানীয় উৎপাদন বাড়াচ্ছে। সেমিকন্ডাক্টর থেকে জেট ইঞ্জিন প্রতিটি খাতে আমদানিনির্ভরতা কমাতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে বেইজিং। অপরদিকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাজেট ২০২৪ সালে রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মার্কিন হাউজার, প্যাট্রিয়ট মিসাইল কেনা হচ্ছে ঢালাওভাবে। কিন্তু চীনের অর্থনৈতিক প্রভাবের কাছে কি সামরিক প্রস্তুতিই শেষ কথা? কূটনীতিকরা মনে করেন তাইপেইয়ের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতাই বড় হুমকি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এখন চীনা অস্ত্রের সম্ভাব্য হুমকি মূল্যায়ন করছে।

ফ্রান্স, জার্মানির কোম্পানিগুলো তাদের প্রযুক্তি রপ্তানিতে কঠোর হচ্ছে। কিন্তু হাঙ্গেরি, গ্রিসের মতো দেশগুলো চীনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করায় বাধা নেই। ইউরোপের ঐক্য এখন পরীক্ষার মুখে। মধ্যপ্রাচ্যে চীনা ড্রোনের ব্যবহার বাড়ছে অভিনব কৌশলে। সৌদি আরব, আইএইউএ চীনের থেকে উইং লং ড্রোন কিনেছে। আমেরিকার এমকিউ-৯ রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে এই ড্রোনগুলো কাজ করছে। মূল্য কম, কিন্তু কার্যকারিতা এখনো বিতর্কিত। আফ্রিকায় চীনা অস্ত্রের বাজার দখলে নীরব বিপ্লব চলছে। সম্পদ উত্তোলনের চুক্তির সঙ্গে অস্ত্র বিক্রি জড়িয়ে যায়। নাইজেরিয়ার বোকো হারাম দমনে চীনা ট্যাংক ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশিক্ষণের অভাব এসব অস্ত্রকে করছে অকার্যকর। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা নৌবাহিনীর প্রদর্শনী এখন নিয়মিত। এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, সাবমেরিন সবই আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ার। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনের প্রতিবাদ বাড়লেও মার্কিন উপস্থিতিই কিন্তু একমাত্র ভরসা। 

কাশ্মীর থেকে দক্ষিণ চীন সাগর চীনা অস্ত্রের উপস্থিতি এখন সর্বত্র। পাকিস্তানে জেএফ-১৭ থান্ডার, শ্রীলঙ্কায় এফটিপি বন্দর প্রতিটি প্রকল্প ভূ-রাজনৈতিক পাটিগণিতের অংশ। ভারত এই প্রবণতা মোকাবিলায় রাশিয়া, ইসরায়েলের সঙ্গে জোট বাঁধছে। চীনা সাইবার যুদ্ধক্ষমতা এখন অস্ত্র রপ্তানির নতুন ক্ষেত্র। ইরান, উত্তর কোরিয়াকে সাইবার অস্ত্র বিক্রি করছে বেইজিং। সেন্টিনেলওয়ান ইনসিডেন্টে এর প্রমাণ মিলেছে। ডিজিটাল যুগে এই অস্ত্র ভবিষ্যৎ সংঘাতের চেহারা বদলে দেবে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া চীনের সামরিক বৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কিত। তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ছে ধারাবাহিকভাবে। মার্কিন থাড মিসাইল সিস্টেম এখন জাপানের প্রতিরক্ষা শক্তির মূল স্তম্ভ। এশিয়ায় নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা গভীর হচ্ছে। চীনা অস্ত্রের গুণগত মান বাড়াতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ডিজাইনে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, পেটেন্ট কিনে নেওয়া এসব কৌশলে প্রযুক্তি উন্নয়ন হচ্ছে। শেনজেনের ড্রোন কোম্পানিগুলো এখন বিশ্ববাজারে পাকিস্তান, তুরস্কে সরবরাহ করছে। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে চীন রাশিয়াকে ছাড়িয়ে তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক হবে। তবে মার্কিন প্রভাব বলয়ে প্রবেশ করা এখনো চ্যালেঞ্জ। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতে চীনা অস্ত্রের প্রবেশাধিকার প্রায় শূন্য। প্রতিটি যুদ্ধ চীনা অস্ত্রশিল্পের জন্য গবেষণার মাঠ। ইউক্রেনে রাশিয়ান ট্যাংকের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বেইজিং উন্নত করেছে নিজস্ব মডেল। সিনো-ইন্ডিয়ান সীমান্তে সংঘাতের তথ্য কাজে লাগানো হচ্ছে নেক্সট-জেনারেশন ট্যাংক ডিজাইনে।

শিক্ষানবিস যোদ্ধাদের জন্য চীন তৈরি করেছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ট্রেনিং সিস্টেম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে যুদ্ধ কৌশল শেখানো হয়। এই প্রযুক্তি রপ্তানি তাদের অর্থনীতিতে যোগ করছে নতুন মাত্রা। চীনা অস্ত্রের উত্থান পশ্চিমা শিবিরকে নতুন ভাবনা দিচ্ছে। ন্যাটো এখন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করছে। অস্ত্রের বাজারে এই প্রতিযোগিতা, ঠান্ডা যুদ্ধের স্মৃতি জাগিয়ে তুলছে। বিশ্ব এখন দেখছে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রযুক্তি যুদ্ধের নতুন অধ্যায়। বিশ্ববাসী আজ এক চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে। ভারত-রাশিয়া-ইসরায়েল জোট, ন্যাটোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্প্রসারণ, ব্রিকসের নিরাপত্তা আলোচনা প্রতিটি অক্ষর যেন নতুন ঠান্ডা যুদ্ধের ইঙ্গিত। কিন্তু এই যুদ্ধের ময়দান কি শুধু ট্যাংক-মিসাইলের? নাকি এর মূল যুদ্ধটি হচ্ছে সাইবার স্পেসে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ল্যাবে অথবা অর্থনীতির অদৃশ্য ফ্রন্টে? চীনা ড্রোনের প্রপেলার শব্দে মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি কাঁপছে, আফ্রিকায় রেললাইনের বিনিময়ে অস্ত্রের বাণিজ্য চলছে এসবই কি নতুন বিশ্বনকশা? চীনের এই যাত্রা কি নক্ষত্রের গতিপথ নাকি ধূমকেতুর অগ্নিপাত? দুর্নীতির কালো গহ্বরে ডুবে যাওয়া রকেট ফোর্সের কেলেঙ্কারি, মিয়ানমারের মাঠে অচল যুদ্ধবিমান, বাংলাদেশের অভিযোগ এসব যেন অন্ধকারের খণ্ডচিত্র। অথচ এরই মধ্যে ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের টেস্ট ফ্লাইট ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেমিকন্ডাক্টর থেকে অ্যাম্ফিবিয়াস জাহাজ চীন নিজেকে প্রমাণ করছে প্রতিটি স্তরে। ইউক্রেনের ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে আসা শিক্ষা হলো যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা জরুরি। সেটা কি চীন রপ্ত করেছে? নাকি আমদানিনির্ভরতার ভূত থাবা বসাবে তার স্বপ্নে?   চীনের অস্ত্র-ব্যবসা কি পরোক্ষ আগ্রাসনের হাতিয়ার? এখন পর্যন্ত নিশ্চিত শুধু একটিই বিষয়। তা হলো পৃথিবীর রাজনৈতিক কম্পাসটি সরে যাচ্ছে প্রাচ্যের দিকে।  যুদ্ধের মেঘ কখন বৃষ্টি হয়ে ঝরবে আর কখন বিদ্যুৎ হয়ে চমকাবে, তা অজানা। তবে এই অনিশ্চিত আকাশের নিচে, চীনা অস্ত্রের উত্থান শেখাচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। এখন শক্তি কেবল বারুদে নয়, বাজারেও। কেবল মিসাইলে নয়, মাইক্রোচিপেও। ভূ-রাজনীতির এই নতুন কবিতায় চীন লিখছে নিজের স্তবক কিন্তু এর ছন্দ কি বিশ্ব শুনতে প্রস্তুত?

লেখক: শিক্ষক, গবেষক ও সংগঠক

[email protected]

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত