সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

মেদ কমায় মাইক্রো-ওয়াকিং

আপডেট : ২১ মে ২০২৫, ১২:৪১ এএম

ওজন কমাতে হাঁটাহাঁটির কোনো বিকল্প নেই। তবে কখন হাঁটবেন, কতটা হাঁটবেন, কী নিয়মে হাঁটবেন সে বিষয় নানা মতামত দিচ্ছেন ফিটনেস প্রশিক্ষকরা। এর মধ্যেই নতুন এক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে তা হলো ‘মাইক্রো-ওয়াকিং’। সকালে উঠেই হন হন করে হাঁটতে হবে, তা একেবারেই নয়। সারা দিনে গুনে গুনে ১০ হাজার পা হাঁটলেও ওজন কমবে, তা-ও নয়। হাঁটুতে ব্যথা, পা ফোলার সমস্যা নিয়ে যারা হাঁটতে পারছেন না, তাদের জন্য খুবই সুবিধাজনক ‘মাইক্রো-ওয়াকিং’। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য হাঁটার এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর।

মাইক্রো-ওয়াকিং কী

‘মাইক্রো-ওয়াকিং’ হলো একটানা হাঁটা নয়, ছোট ছোট পদক্ষেপে বিরতি নিয়ে হাঁটা। মাইক্রো-ওয়াকিংয়ে টানা ১০ মিনিট হাঁটতে হয় না। ৩০ সেকেন্ড বা ৪০ সেকেন্ড হেঁটে, ২-৩ মিনিটের বিরতি নিন। আবার হাঁটুন। যারা কোনো রকম শরীরচর্চা করেন না অথবা শারীরিক কসরতও কম হয়, তাদের জন্য বিরতি নিয়ে হাঁটার পদ্ধতি খুবই উপকারী। মাইক্রো-ওয়াকিংয়ে হন হন করে হাঁটতে হয় না। ধীরে সুস্থে বিরতি নিয়ে হাঁটলেই হবে। তবে বিরতির সময়টুকু যেন ১০ বা ১৫ মিনিট না হয়ে যায়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। হার্টের রোগ থাকলে বা হাঁপানির সমস্যা থাকলে, একটানা বেশিক্ষণ হাঁটা যায় না। সে ক্ষেত্রে মাইক্রো-ওয়াকিং ভালো।

হাঁটারও কিন্তু অনেক নিয়ম আছে। হাঁটার গতি ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার হলে তাকে ‘পাওয়ার ওয়াকিং’ বলা হয়। এ ধরনের হাঁটায় হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যায়, ক্যালোরিও দ্রুত ক্ষয় হয়। আর বিরতি নিয়ে হাঁটলে শ্বাসের গতি ঠিক থাকে, হাঁটতে গিয়ে ক্লান্তি ভাব আসে না। ফলে বেশি সময় ধরে হাঁটা যায়। হাঁটলে ‘হ্যাপি’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যা শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। খেয়াল রাখতে হবে, মাইক্রো-ওয়াকিংয়ের সময়ে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মিলিয়ে পা ফেলতে হবে। শ্বাস নেওয়ার সময় ৪ পা ফেলুন, শ্বাস ছাড়ার সময় আরও ৪ পা। ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি কমলে প্রতি শ্বাসে পদক্ষেপের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় শারীরিক কসরতও হবে, মনঃসংযোগও বাড়বে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত